তপন: সকাল-সকাল আগুনের ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুরে। আগুন লেগে যায় দু’টি বাড়িতে। ঘটনায় সম্পূর্ণ ভস্মীভূত বাড়িগুলি।

গতকাল রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার রাজেশ্বরপুরে ঘটনাটি ঘটে। এরপর আজ সকালে খবর মেলে। আগুন লাগার ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন ও তপন থানার পুলিশ।পরে দমকল কর্মী ও স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে প্রায় ঘণ্টা খানেক পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে দু’টি বাড়ির সব পুড়ে যায়। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলেই প্রাথমিক অনুমান দমকলের। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ ও দমকলকর্মীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজেশ্বরপুরের বাসিন্দা হাফিজউদ্দিন সরকার এবং তমিজউদ্দিন সরকার দুই ভাইয়ের বাড়ি অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুনে কয়েক লক্ষ টাকার জিনিস পুড়ে গিয়েছে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা দ্রুত আগুন নেভানোর কাজে এগিয়ে আসে। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। আগুন লাগার কারণ এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দমকল বাহিনী এবং তপন থানার পুলিশ প্রশাসন।

এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, আনুমানিক নয়টা দশ নাগাদ আগুন লেগেছে। ওই দুই ভাইয়ের বাড়িতে আগুন লাগে। খবর পাওয়া মাত্রই আমরা দমকল ও পুলিশকে খবর দিই। এলাকায় দমকল আসে। তারাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ওদের।

এদিকে এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। দুটি বাড়ির সমস্ত সামগ্রী পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় আগুনে। অসহায় অবস্থায় ওই পরিবাগুলি প্রশাসনিক সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গতকাল আগুনের ঘটনা ঘটে নবান্নর অদূরে। রাজ্য প্রশাসনিক কার্যালয়ের ঠিক পিছনের দিকে এই ঘটনা ঘটায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

নবান্নের ঠিক পিছন দিকে অবস্থিত পূর্ত দফতরের এই অস্থায়ী অফিসটি। দ্বিতীয় হুগলী সেতু থেকে মন্দিরতলা যাওয়ার রাস্তার নীচে জড়ো করে রাখা ছিল প্রতিমা নির্মাণের কাঠামো। সন্ধে ছয়টা নাগাদ সেই কাঠামোর খড়ে আগুন লাগে। প্রথমে দমকলের দুটি ইঞ্জিন কাজ করলেও পরে আরও দু'টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে হাত লাগায়। এই মুহুর্তে আগুন নেভানোর কাজ করছে দমকলের চারটি ইঞ্জিন। আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

জানা গিয়েছে সেই অফিসের মিটার থেকেই একটি শর্ট সার্কিট হয়। সেই শর্ট সার্কিট থেকেই প্রথমে আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যেই গ্রাস করে অফিসের পিছনে গোডাউনে পড়ে থাকা কাঠামো ও শুকনো খড়ে। দাহ্যবস্তুর কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। নবান্নের কাছে থাকা দমকলের দুটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। যার ফলে আগুন বিধ্বংসী রূপ নিতে পারেনি। বর্তমানে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours