দীপাবলির রাতেই এসেছে খারাপ খবর। প্রয়াত হয়েছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। তাঁর প্রয়াণে ইতিমধ্য়েই আসতে শুরু করেছে শোকবার্তা। গতকালই শোকপ্রকাশ করছেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mandal)।

অনুব্রত বলেন,”অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।

আমার শোক প্রকাশের কোনও ভাষা নেই। দলের বড় ক্ষতি হয়ে গেল।” প্রয়াত মন্ত্রীর সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে এদিন স্মৃতিচারণ করতে দেখা গেল শাসকদলের এই তাবড় নেতাকে। বলেন” আমার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। আমাকে নিজের ভাইয়ের মতো দেখতেন। বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ দিতেন। মুখ থেকে কখনও খারাপ কথা বেরোলে সংশোধন করে দিতেন। আমাকে জ্ঞান দিতেন এখানেই শেষ নয়। আমায় শেখাতেন।” একই সঙ্গে আরও যোগ করে তিনি জানান, “দিদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব কাছের লোক ছিলেন উনি। একটানা পঞ্চাশ বছর ধরে বিধায়ক। ওঁনার মৃত্যুতে কষ্ট তো হবেই।”

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) । মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, রাত ৯টা ২২ নাগাদ সিভিয়ার কার্ডিয়াক অ্যারাস্ট হয় তাঁর। তাতেই বাহাত্তরে নিভল জীবনপ্রদীপ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আচমকাই সুব্রতবাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এসএসকেএম সূত্রে খবর, স্টেন্ট থ্রম্বোসিসে আক্রান্ত হন মন্ত্রী। কিছুদিন আগেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হৃদযন্ত্রে স্টেন্ট বসানো হয়েছিল। কার্ডিওলজি বিভাগে আইসিইইতে ভর্তি তিনি। সেখানেই স্টেন্ট থ্রম্বোসিসে সুব্রত মুখোপাধ্যায় আক্রান্ত হন। সেই স্টেন্টের জায়গায় রক্ত জমা বেঁধে যায়। ফলে সেই স্টেন্ট বের করে নেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ নেই। এরপরই দ্রুত বিশেষজ্ঞদের ডেকে পাঠানো হয়। তাঁরা সবরকম চেষ্টা করছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার। অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাপোর্টে তাঁকে রাখার চেষ্টা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রাত সাড়ে ১১টার সময় এসএসকেএম থেকে শববাহী গাড়ি করে সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে পিস ওয়ার্ল্ডে। সেখান থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে নটার সময় দেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্রসদনে। সেখানে শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপণের পর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর ক্লাবে এবং বাড়িতে। দুপুর ২ টো পর্যন্ত রবীন্দ্রসদনে শায়িত থাকবে মরদেহ।

সুব্রতবাবুর আইনজীবী মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে মুড়ি-চপ, চাউমিন খেতে চেয়েছিলেন। সেকথা নিজে মুখেই বলেছিলেন। কিন্তু,তারপরেই তাঁর দাঁতে দাঁত লেগে যায়। কিছু সময় পরে বাথরুমে যান। সেখানেই শেষ। বাথরুম থেকে বেরনোর পরেই হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। তারপরেই সব শেষ! ইচ্ছে মতো পছন্দের খাবারও তাঁর খাওয়া আর হল না।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours