ভিন রাজ্যে পাচার হওয়া সুন্দরবনের ৫ জন মেয়েকে উদ্ধার করল ঢোলাহাট থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজন নাবালিকা। দিল্লির সারিতা বিহার খানার মদনপুর খাদর এলাকার এক গোপন ডেরা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে মূল অভিযুক্তের শাকরেদে। পুলিশ জানিয়েছে, নাম সঞ্জু হালদার (৩১)। বাড়ি কলকাতার লেক থানার রহিম ওস্তাগার রোড এলাকার। রবিবার তাকে কাকদ্বীপ মহাকুমা আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। উদ্ধার হওয়া মেয়েদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মাসের শেষে ঢোলা হাটের বাসিন্দা বছর তিরিশের এক গৃহবধূকে ভালো কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দিল্লিতে নিয়ে যায় ঢোলাহাট থানার শংকরপুর মোল্লাপাড়ার দম্পতি বাবুল হোসেন মোল্লা ওরফে বাবলু ও জিন্নাতুন বিবি। সেখানে একটি ঘরে তাকে আটকে রেখে বিক্রি করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরে গৃহবধুর বাড়ি থেকে টাকা পাঠালে বাড়ি ফিরে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান।অনুরূপ আরো ৫ জন মেয়েকে ওখানে আটকে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ ওই গৃহবধূর কাছ থেকে জানতে পারে। রবিবার রাতে পুলিশ বাবুল হোসেন মোল্লা ও তার স্ত্রী জিন্নাতুন বিবিকে গ্রেপ্তার করে ১০ দিনের পুলিশী হেফাজতে নিয়ে পাচার হওয়া মহিলাদের উদ্ধার কার্যে নামে। ঢোলাহাট থানার তদন্তকারী অফিসার শুভেন্দু চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মঙ্গলবার পাচারকারী জিন্নাতুন বিবিকে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেখানে দিল্লি পুলিশ ও শক্তি বাহিনী নামে এক এনজিওর সাহায্য নিয়ে বুধবার রাতে সারিতা বিহার খানার মদনপুর খাদর এলাকার এক গোপন ডেরায় হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ওই ৫ মেয়ে। ঘটনাস্থল থেকে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্তের শাকরেদ সঞ্জু হালদার। অপর অভিযুক্ত নুর আলম পলাতক।
 

                     ADVOCATE -  দেবাঞ্জন সরকার 


অভিযোগ, স্কুল বন্ধের সুযোগ নিয়ে কাজের টোপ দিয়ে গ্রামেরই মহিলা জিন্নাতুন ওদের নিয়ে আসে দিল্লিতে। সেখানে মাথাপিছু ১৫ হাজার টাকা দিয়ে এক ব্যক্তি ওদের কিনে নেয়। পুলিশ সূত্রের দাবি, সেই ব্যক্তি মেয়েদের ওই লোকটির হাতে ৭৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেয়। পরে সেই মেয়েদের লখনউয়ে বিক্রি করে দিতে যাচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সেখানে তাদের দিয়ে নোংরা কাজ (পড়ুন দেহ ব্যবসা) করানোর মতলব ছিল। উদ্ধার হওয়া মেয়েদের একাধিকজনকে যৌননিগ্রহ ও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours