শনিবার ভোররাত থেকে অসুস্থ তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। অবস্থা এতটাই গুকুতর যে , সাংসদকে দেখতে তাঁর বাড়িতে আসেন চিকিত্‍সক। চারদিন আগেই ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন মিমি। তার পরই এই অসুস্থা চিন্তা বাড়াচ্ছে।

অভিনেত্রীর আগে থেকেই গলব্লাডারের সমস্যা ছিল। শনিবার ভোররাতে খুবই অসুস্থ বোধ করেন মিমি চক্রবর্তী। তাঁর শরীরের রক্তচাপ কমে গিয়েছে, পেটে ভীষণ ব্যথা, এছাড়াও মারাত্মক ডিহাইড্রেশনেো ভুগছেন সাংসদ। ভোর চারটে নাগাদ সাংসদ এতটাই অসুস্থ বোধ করেন যে বাধ্য হয়ে পরিচারিকাকে ফোন করে ডাকেন। সকালে চিকিত্‍সক এসে তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তির কথা বললেও তাতে রাজি হননি মিমি। বাড়িতেই চলছে চিকিত্‍সা। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। চিকিত্‍সক তাঁকে বাড়িতেই সম্পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন।


কসবায় দিন চারের আগেই ভুয়ো আইএস দেবাঞ্জন দেবের নেতৃত্বে যে টিকাকরণের শিবির হয় সেখান থেকেই করোনা টিকা নেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। পরে সন্দেহ হওয়ায় গোটাকাণ্ডেক পর্দা ফাঁস করেন তিনিই। ভুয়ো ভ্যাকসিন থেকেই এই পরিণতি, নাক প্যানিক-টেনশনের জেরে সাংসদ অসুস্থ বোধ করছেন? তা শারীরিক পরীক্ষার পরই বলা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিত্‍সক।



লকাতা পুরসভা ও পুলিশের ফরেন্সিক বিভাগ আগেই জানিয়েছে, ভুয়ো টিকাকরণ শিবিরে টিকার বদলে পাউডারের সঙ্গে জল মেশানো তরল পদার্থ বা অ্যামিকেসিন দেওয়া হয়েছে। সবকিছু খতিয়ে দেখে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দেবাঞ্জনের ডেরা থেকে বাজেয়াপ্ত ভ্যাকসিনের ভায়ালে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, ব্যাচ নম্বর বা ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট, কোনওটাই উল্লেখ নেই। এমনকী, ভ্যাকসিন ভায়ালের ট্যাগে লেখা নেই প্রস্তুতকারী সংস্থার নামও। ভ্যাকসিনের ভায়ালের গায়ে লেখা ছিল, কোভিশিল্ড রিকম্বিনেন্ট। যার বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নেই।

ঘটনা জানাজানির পরই সাসংদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে তাঁর শরীরে আদৌ কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না তা জানতে আজ, শনিবারই শারীরিক পরীক্ষা করাবেন। কিন্তু, তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন সাসংসদ। ফলে ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে আরও আতঙ্ক বাড়লো।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours