সাধারণত প্রতি বছর জানুয়ারি এবং এপ্রিল মাসে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন মেইন (JEE Main) আয়োজন করে থাকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)। কিন্তু কোভিডের কারণে এ বছর প্রতিটি বোর্ডের ক্ষেত্রেই অ্যাকাডেমিক শিডিউল উলটপালট হয়ে গিয়েছে। যার প্রভাবে আগামী বছরের প্রথম দফার JEE Main পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, জানুয়ারি মাসের পরিবর্তে আগামী বছরের প্রথম দফার JEE Main পরীক্ষা হতে পারে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে। যদিও আবেদনপত্র পূরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে। গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিশ্বস্ত সূত্র উদ্ধৃত করে TNN এমনই জানিয়েছে। আর শুধু জয়েন্ট মেইন নয়, আরও একাধিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা এবং দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষাও পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। করোনা মহামারি এবং অসম ও পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কারণে ২০২১ সালে নির্দিষ্ট সময়ে বোর্ডের পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন CICSE-র পদস্থ আধিকারিকরা।
সর্বভারতীয় জয়েন্ট মেইন পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার স্নাতক কোর্সে ভর্তির সুযোগ পান পড়ুয়ারা। এই পরীক্ষা বছরে দু'বার করে আয়োজন করা হয়। চলতি বছরে প্রথম পরীক্ষাটি নির্ধারিত সূচি অনুসারে জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় পরীক্ষা এপ্রিল মাসে হওয়ার কথা থাকলেও করোনা অতিমারীর কারণে একাধিকবার পিছিয়ে গিয়ে সেটি গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। বহু প্রতিষ্ঠানে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া এখনও চলছে।

JEE Main-এর ফল প্রকাশের পর প্রয়োজনীয় কাটঅফ নম্বর পেয়ে যারা কোয়ালিফাই করবেন, তাঁরা আইআইটি, এনআইটি এবং জিএফটিআই-তে ভর্তির জন্য JoSSA কাউন্সেলিং-এ বসার আবেদন করতে পারেন। JEE Main-এর প্রথম ২,৫০,০০০ ছাত্রছাত্রী আইআইটি-তে ভর্তির পরীক্ষা JEE Advanced 2021তে বসতে পারেন।

নাম প্রকাশে ইচ্ছুক কেন্দ্রীয় সরকারের এক পদস্থ কর্তা বলেছেন, 'বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখনও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি চলছে। যে কারণে ২০২১ সালের প্রথম JEE-Main পরীক্ষা জানুয়ারির পরিবর্তে পিছিয়ে দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রক। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী তাঁদের পছন্দ মতো বিষয় পাননি তাঁরা লাভবান হবেন।'

ওই আধিকারিকের আরও সংযোজন, 'পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার আরও একটি কারণ হল কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধি। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রস্তুত করার জন্য NTA-র অন্তত ২ মাস সময় প্রয়োজন।' কোভিডের কারণে এ বছর দু'বার JEE Main পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন পদস্থ ওই আধিকারিক।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours