মিশনের তিনমাস পর বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ দিয়েছিলেন শানমুগা সুব্রহ্মণমই ৷ ফের তামিল টেকির রোভার থিওরিতে কিঞ্চিৎ হলেও মিলল আশার আলো৷
#চেন্নাই:এর আগে চাঁদের বুকে  ISRO’র ল্যান্ডার বিক্রমকে খুঁজে দিয়েছিলেন যিনি, এবার ‘প্রজ্ঞান’ রোভারের খোঁজও দিলেন চেন্নাইয়ে সেই টেকি শানমুগা সুব্রহ্মণম ৷ মহাকাশ উৎসাহী-মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার শানমুগার দাবি, বিক্রম মুখ থুবড়ে পড়লেও একদম ঠিক আছে প্রজ্ঞান রোভার ৷ ছবি ট্যুইট করে নিজের দাবির স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন তিনি ৷ যা নিয়ে ফের শোরগোল পড়েছে নেট 
দুনিয়ায় ৷ 
ISRO’র ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার পরও হাল ছাড়েননি শানমুগা সুব্রহ্মণম ৷ নাসা (NASA)-র ISIS3 USGS সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইসরোর পাশাপাশি লাগাতার ছবি ঘেঁটে চন্দ্রযান-২'এর প্রজ্ঞান রোভারের খোঁজ চালিয়ে গিয়েছেন তিনি ৷ করোনার কারণে ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর ফাঁকে চলছিল প্রজ্ঞানের সন্ধানে গোয়েন্দাগিরি ৷ অবশেষে মিলল সাফল্য ৷ ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের পর এবার রোভারকেও চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন চেন্নাইয়ের এই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ৷ নিজের সমস্ত রিসার্চ ও ফাইন্ডিং বিস্তারিতভাবে নাসা ও ইসরোকে জানিয়েছেন সুব্রহ্মণম ৷ এর আগেও নাসার স্যাটেলাইটের ছবি থেকে যেভাবে তিনি বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছিলেন তাতে তাঁর তথ্যেই সিলমোহর দিয়েছিল নাসা ও ইসরো ৷
এবার প্রজ্ঞান রোভারকে চিহ্নিত করার পর ছবি সহ ট্যুইট করে শানমুগা সুব্রহ্মণমের দাবি, বাজে ভাবে অবতরণের কারণে বিক্রম ল্যান্ডারের পেলোডস ভেঙে গেলেও চন্দ্রপৃষ্ঠে চন্দ্রযান-২'এর প্রজ্ঞান 'রোভার' কিন্তু অক্ষত আছে! এমনকী বিক্রম ল্যান্ডারের কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে, কয়েক মিটার পথ পাড়িও দিয়ে ফেলেছে সে। চাঁদের বুকে রোভারের সেই পরিক্রমাও ট্র্যাক করে ফেলেছেন মহাকাশ বিষয়ে উৎসাহী এই ইঞ্জিনিয়ার ৷
সফলভাবে বিক্রমের ল্যান্ডিং না হওয়ার পর ভেঙে পড়ছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরাও ৷ কিন্তু আশাহত না হয়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা লাগাতার রোভারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে চলেছেন ৷ চেন্নাইয়ের এই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের থিওরি প্রসঙ্গে ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিবান জানিয়েছেন, শানমুগা সুব্রহ্মণমের সঙ্গে তাঁদের বিস্তারিত কথা হয়েছে ৷ বিশেষজ্ঞরা শানমুগার দেওয়া সমস্ত তথ্য-থিওরি খতিয়ে ও বিশ্লেষণ করে দেখছেন ৷
২০১৯ সালে ৭ সেপ্টেম্বর এযাবৎকালে ইসরোর সব থেকে বড় প্রজেক্ট বিফল হয়ে যায় ৷ রোভার প্রজ্ঞানকে নিয়ে বিক্রম ল্যান্ডার অবতরণের সময় চাঁদের মাটি থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার উপরে থাকা অবস্থায় শেষ মুহূর্তে গ্রাউন্ড স্টেশনটির সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। তার পর থেকেই চলছে খোঁজ ৷ মিশনের তিনমাস পর বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ দিয়েছিলেন শানমুগা সুব্রহ্মণমই ৷ ফের তামিল টেকির রোভার থিওরিতে কিঞ্চিৎ হলেও মিলল আশার আলো৷

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours