করোনা শনাক্তকরণের জন্য পরীক্ষাগারের সংখ্যা গত কয়েক মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সময় কোভিড-১৯ শনাক্তকরণে দেশে মাত্র একটি ল্যাবরেটরি ছিল। এখন দেশে সরকার-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৩৮৯টি ল্যাবরেটরি আছে। যার ফলে বাড়ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা। আগে দিনে মাত্র কয়েক'শো টেস্ট হত দেশজুড়ে। কিন্তু সোমবার ৫ লক্ষ ২৮ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৫০৩। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৪৮ ও সুস্থ হয়েছেন ৯ লক্ষ ৫৩ হাজার ১৮৯।

দৈনিক সংক্রমণ নিরিখে রেকর্ড করলেও করোনা-পরীক্ষাও রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ২৬ তারিখ দেশ জুড়ে এই প্রথম পাঁচ লক্ষেরও বেশি জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। ওই দিন সোয়াব পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ লক্ষ ১৫ হাজার জনের। এর পর ২৭ তারিখে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ২৮ হাজার। এর ফলে নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবু চিন্তিত নয় মন্ত্রক। কারণ তাদের দাবি, করোনায় মৃত্যুর হার এখনও ভারতেই সবচেয়ে কম— মাত্র ২.২৮ শতাংশ। দেশে সুস্থতার হারবেড়ে দাঁড়াল ৬৪.২৩ শতাংশ।

সোমবার বিকেলে দিল্লি থেকে আইসিএমআরের হাইটেক ল্যাবরেটরি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কলকাতা, মুম্বই ও নয়ডায় এই ল্যাব উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে সামিল ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উদ্ধব ঠাকরে ও যোগী আদিত্যনাথ। কেন্দ্রের দাবি, আইসিএমআরের এই ল্যাবগুলোতে দিন অন্তত ১০ হাজার করে টেস্ট করা যাবে। শুধু করোনাই নয়, এইচআইভি, ডেঙ্গির মতো সংক্রামক রোগেরও পরীক্ষা করা যাবে এই অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরিতে।

অন্যদিক, পশ্চিমবঙ্গে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ছাপিয়ে গেল নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাকে। সোমবার রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১১২ জন। অন্যদিকে এদিন সুস্থ হয়ে উঠে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ২১৬৬ জন। এর ফলে সোমবার রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক টেস্ট হলেও অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা কমে হল ১৯৫০২। আশা জানিয়ে কলকাতা সহ রাজ্যের করোনা সংক্রমণের গ্রাফে শীর্ষে থাকা পাঁচ জেলাতে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়েনি।

ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, 'করোনার বিরুদ্ধে লড়ছে কোটি কোটি দেশবাসী। টেস্ট ল্যাব চালুর ফলে আরও শক্তিশালী হবে সেই লড়াই। মুম্বই, কলকাতা, নয়ডা অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি'। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'প্রথম থেকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সে কারণেই ভারতে মৃত্যুর হার তুলনায় অনেক কম। দেশে ১৩০০ ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। প্রতিদিন ১০ লক্ষ টেস্ট করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছি আমরা'।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours