গত ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন জাপানের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা। তারপরই তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মান প্রদান করার কথা জানান। এদিনের অনুষ্ঠানে সাম্মানিক ডি-লিট পাওয়ার পর জাপানি ভাষায় ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
'দরিদ্র মহিলাদের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন মমতা', ডি-লিট প্রদান করে বলল ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়
মঞ্চে মমতা
এশিয়ার প্রথম কোনও মহিলাকে সাম্মানিক ডি-লিট প্রদান করল ওয়াকামা ইউনিভার্সিটি। কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সেই সম্মান তুলে দিল ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন, দরিদ্র মহিলা ও শিশুদের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন মমতা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে মুখ্যমন্ত্রী এদিন উল্লেখ করেন, জাপানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক বাংলার।
বুধবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে ওই সম্মান প্রদানের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ওকায়ামা ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট নাসু ইয়াসুতোমো এদিন উপস্থিত হয়ে জানান, ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বিজিবিএস-এ তাঁর অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়েছিল। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন রাজ্যের গরীব মহিলা এবং শিশুদের জন্য। সামাজিক সুরক্ষা দিতে বিশেষ করে মহিলা এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প চালু করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক স্তরে বিশেষ সম্মান লাভ করেছেন। তাঁর এই লিডারশিপের জন্য ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রথম এশিয়ার কোনও মহিলাকে সাম্মানিক ডি-লিট দিচ্ছে।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জাপানের ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে ওই প্রতিনিধিরা বিজিবিএস-এ যোগ দিতে বাংলায় আসে। এরপরই জাপানে আমন্ত্রণ জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। মে মাসে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিঠি লেখা হয় বলেও জানান মমতা। তিনি বলেন, “এই বছর যেতে পারব না বলে জানিয়েছিলাম। এরপর জানানো হয়, আসতে না পারলে আমরা যাব। এরপর কি আর আমি এড়াতে পারতাম! সৌজন্যকে সম্মান জানানো উচিত ছিল। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন বাংলার সঙ্গে জাপানের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। মমতা উল্লেখ করেন, একসময় রাসবিহারী বসু, নেতাজি সুভাষচন্দ্র জাপানে গিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথে সঙ্গে জাপানি সংস্কৃতির সম্পর্কের কথাও বলেছেন তিনি। জাপানের একাধিক সংস্থা মিৎসুবিসি, হিতাচি ভারতে কাজ করছে। ওয়েবেলও জাপানি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই সম্মানের জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours