তবে এই রায় ঘোষণার দিন ঘিরে ইতিমধ্যেই পড়শি দেশে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ পরিস্থিতি। নিরাপত্তা নিয়েও বাড়ছে চিন্তা। সম্প্রতি আওয়ামী লিগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর ১৩ই নভেম্বর ঢাকায় লকডাউনের ডাক দিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের নিয়ে একযোগে আন্দোলনে নামার হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি।

চলছে কড়া নজরদারি, র‌্যাডারে আওয়ামী নেতারা! হাসিনার রায় ঘিরে উদ্বেগ বাংলাদেশে
বাংলাদেশে বাড়ছে চিন্তা


 বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ। আগামী ১৩ই নভেম্বর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়কালে চলা ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ মামলার রায় ঘোষণা দিন নির্ধারিত করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর এম এইচ তামিম বলেন, ‘রাজনীতি যাই হোক না কেন, আগামী ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। ওই দিন রায় ঘোষণা হবে না, বরং কবে রায় ঘোষণা করা হবে সেই দিনক্ষণ নির্ধারণ হবে।’

তবে এই রায় ঘোষণার দিন ঘিরে ইতিমধ্যেই পড়শি দেশে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ পরিস্থিতি। নিরাপত্তা নিয়েও বাড়ছে চিন্তা। সম্প্রতি আওয়ামী লিগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর ১৩ই নভেম্বর ঢাকায় লকডাউনের ডাক দিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের নিয়ে একযোগে আন্দোলনে নামার হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। আর শুধুই জাহাঙ্গির কবীর নয়, ঢাকা বনধের ডাক দিয়েছেন আওয়ামী লিগের অন্য নেতারাও। তারপর থেকেই তৎপর প্রশাসন।



৪ বছর ধরে ভাঁড়ে জমিয়েছেন টাকা, খুচরো গুনতে গুনতে ক্লান্ত শোরুমের কর্মীরা
মুনিরই এখন সর্বেসর্বা, তাঁকে পদ দিতে সংবিধানই বদলে দিল পাকিস্তান!
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্য়ম মানবজমিনের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, আওয়ামী লিগের নেতাদের হুঁশিয়ারি হাওয়ায় উড়িয়ে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ইতিমধ্য়েই তৎপরতার সঙ্গে ময়দানে নেমে পড়েছেন গোয়েন্দারা। পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও রকম নাশকতা, সংঘাত পরিস্থিতি এড়াতে ১০ই নভেম্বর থেকে ঢাকার প্রবেশপথ, আবাসিক হোটেল, মেস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে তল্লাশি ও বিভিন্ন অভিযান চালানো হবে।

পাশাপাশি, জনসাধারণের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করতে বাড়ানো হবে চেকপোস্টের পরিমাণ। ২৪ ঘণ্টা দল বেঁধে টহল দেবে পুলিশ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আওয়ামী লিগের নেতাকর্মীদের একটি তালিকায় তৈরি করে নিয়েছে ঢাকা ও সেই সংলগ্ন এলাকার থানাগুলি। তাঁদের গতিবিধির উপরেও নজরদারি চলছে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝলেই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামবেন তদন্তকারীরা। নজরদারি চালাচ্ছে সাইবার পুলিশও। কোনও ভাবে সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করে যাতে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরির ছক না কষা হয় সেই দিকেই নজর রাখছেন তাঁরা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours