শুভেন্দু এদিন দাবি করেন, এক কোটিরও বেশি নাম বাদ দেওয়া উচিত এসআইআরে। তাঁর দাবি, বাংলায় বিস্তীর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ রয়েছে, কাঁটাতার না থাকায় বহু বাংলাদেশি অবৈধভাবে প্রবেশ করে বসবাস করতে শুরু করেছে।
SIR লিস্ট না বেরনো পর্যন্ত সজাগ দৃষ্টি থাকবে', বললেন শুভেন্দু
সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু
বাংলায় হাজির হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের টিম। দফায় দফায় চলছে বৈঠক। সেই বৈঠক থেকে যে ইঙ্গিত মিলেছে, তাতে আগামী ১৫ অক্টোবরের পরই হতে পারে এসআইআর। আর সেই সমীক্ষা শুরু হলে বিজেপিও সাহায্য করবে বলে জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, ভুয়ো ভোটারের নাম যাতে বাদ যায়, তার জন্য সবরকম সাহায্য করবে বিজেপি।
সাংবাদিক বৈঠকে মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু এদিন দাবি করেন, এক কোটিরও বেশি নাম বাদ দেওয়া উচিত এসআইআরে। তাঁর দাবি, বাংলায় বিস্তীর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ রয়েছে, কাঁটাতার না থাকায় বহু বাংলাদেশি অবৈধভাবে প্রবেশ করে বসবাস করতে শুরু করেছে। এবার তাঁদের নাম সরিয়ে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি হোক, এটাই চান শুভেন্দু।
এদিন শুভেন্দু বলেন, “প্রধান বিরোধী দল হিসেবে, রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরাও সাহায্য করব। চূড়ান্ত লিস্ট বেরনো পর্যন্ত আমাদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে।” এর ফলে রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি। শুভেন্দু গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল উল্লেখ করে বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে আমাদের ৪২ লক্ষ ভোটের ফারাক ছিল। তার মধ্যে আবার বেলা ২ টো থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত সব ক্যামেরা বন্ধ ছিল।”
যদিও এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এসআইআর-এর কথা ঘোষণা করা হয়নি। তবে বৈঠক থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, দ্রুত সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে বাংলায়। ইতিমধ্যেই এই এসআইআর নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উৎসবের মরসুমে কীভাবে এত দ্রুত এসআইআর শুরু করা সম্ভব, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এসআইআর প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও। তিনিও মনে করছেন, আদতে বহু নাম বাদ যাবে। মৃত ভোটার, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সহ অনেকের নাম বাদ যাবে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। আবার তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের দাবি, এসআইআর-এ সবথেকে বেশি ক্ষতি হবে মতুয়া উদ্বাস্তুদের। বিজেপিতে যারা ভোট দেয় তাদের নাম বাদ যাবে। তাতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। বরং আসন বাড়বে।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours