নীনা গুপ্তার মতে, আজও বহু পরিবারে সন্তানদের সঙ্গে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হয় না। তিনি মনে করেন, বাড়ির বড়রা— বিশেষ করে দিদা ঠাকুমারা— যদি এই প্রসঙ্গগুলো সহজভাবে উপস্থাপন করেন, তাহলে সমাজে পরিবর্তন ঘটবে।


'যৌন সুখ দেওয়া মেয়েদের কর্তব্য', শৈশবে কোন সমস্যার মুখে পড়তে হয় নীনাকে?


জনপ্রিয় অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা একাধিকবার চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করে নেন তাঁর খোলামেলা মন্তব্যের কারণে। কখনও তা সৃষ্টি করে বিতর্ক, কখনও আবার তা ঘিরে শুরু হয়ে যায় প্রবল সমালোচনা। তালিকা থেকে তাঁর বোল্ড পোশাকও বাদ পড়ে না। তবে যৌন সম্পর্ক নিয়ে তাঁর করা মন্তব্য সাড়া ফেলেছে একাধিকবার। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী সমাজে যৌনতা নিয়ে ট্যাবু ভাঙার প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে কথা বলে আরও একবার চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়গুলো যদি আমি বা আপনি বলি, কেউ শুনবে না। কিন্তু যদি একজন গুরুজন বলবেন — তখন সেটা সত্যি প্রভাব ফেলে।’’


নীনার মতে, সমাজে যৌনতা, ঋতুস্রাব বা শরীরচর্চা সংক্রান্ত শিক্ষার অভাব এখনও প্রকট। তিনি বলেন, ‘‘আমার মা কোনওদিন আমাকে বলেননি যৌনতা কী, ঋতুস্রাব কী, শরীরের পরিবর্তন কীভাবে ঘটে। কলেজে পড়ার সময়, মায়ের এত কড়া শাসন ছিল, বান্ধবীদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়াও ছিল নিষেধ।’’




নীনা গুপ্তার মতে, আজও বহু পরিবারে সন্তানদের সঙ্গে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হয় না। তিনি মনে করেন, বাড়ির বড়রা— বিশেষ করে দিদা ঠাকুমারা— যদি এই প্রসঙ্গগুলো সহজভাবে উপস্থাপন করেন, তাহলে সমাজে পরিবর্তন ঘটবে।

নীনা গুপ্তাকে তাঁর এক সিরিজের চরিত্রে দিদার ভূমিকায় এমনই স্পষ্ট ভাষায় যৌনতা নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়, যা দর্শকদের মধ্যে প্রবল আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। তাঁর মতে, ‘‘এই ভূমিকা সমাজে নারীদের অবস্থান এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠতে পারে।’’ নীনার এই বক্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসার ঝড় উঠে। অনেকেই মনে করছেন, বয়স বা প্রজন্ম নয়— সচেতনতা ও সাহসই আসল পরিবর্তনের চাবিকাঠি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours