বিরোধী দলনেতার সংযোজন, 'ওই কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট বুথেই দুই প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক ও দুই আইসিডিএস কর্মী-সহ মোট ৪ জন সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তারপরেও তাঁদের পেরিয়ে কেন সহদেবকে বিএলও হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে? আমি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে আবেদন করব, এই ঘটনায় তড়িঘড়ি কোনও পদক্ষেপ করুন।


পার্ট-টাইম BLO, ফুল-টাইম তৃণমূল! বেনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী

বিএলও নিয়োগেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেখছেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ তুলেছেন বেনিয়মেরও। তবে এটা প্রথম নয়। সম্প্রতি, তাঁর তোলা অভিযোগের ভিত্তিতে জেলাশাসকের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছিল রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। এবার ফের একবার সেই একই অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু।


পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় বিধানসভা কেন্দ্রের ২৪ নং বুথের বিএলও সহদেব মহাপাত্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। নিজের সমাজমাধ্য়মে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘সহদেব মহাপাত্র পেশায় পার্শ্বশিক্ষক, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ। সম্প্রতি তাঁকে নারায়ণগড়ে বিএলও হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু যেখানে আরও একাধিক শিক্ষক ও আইসিডিএস কর্মীরা ছিলেন, তারপরেও কেন তাঁকেই বিএলও হিসাবে নিযুক্ত করা হল?’


 দেন ডেবিট কার্ড, ১৩ রাজ্যে 'মোস্ট ওয়ান্টেড' অপরাধীকে পাকড়াও করল বিধাননগর পুলিশ
বিরোধী দলনেতার সংযোজন, ‘ওই কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট বুথেই দুই প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক ও দুই আইসিডিএস কর্মী-সহ মোট ৪ জন সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তারপরেও তাঁদের পেরিয়ে কেন সহদেবকে বিএলও হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে? আমি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে আবেদন করব, এই ঘটনায় তড়িঘড়ি কোনও পদক্ষেপ করুন। পাশাপাশি, ওই বিএলও-কেও বদলি করা হোক। তাঁর পরিবর্তে অন্য কোনও যোগ্যপ্রার্থীকে নিযুক্ত করা হোক।’

অবশ্য, শুভেন্দুর অভিযোগকে কার্যত নস্যাৎ করেছেন তৃণমূল ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। এদিন তিনি বলেন, ‘বিজেপি বাংলার সব জায়গাতেই নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ দেখতে পায়। বাংলা ছাড়া ভারতবর্ষের আর কোথাও তাঁরা বেনিয়ম খুঁজে পান না। কিন্তু উনি হয় তো জানেন না, বিএলও নিয়োগে এমন কোনও বেনিয়ম ঘটেনি। সবটাই কমিশনের নিয়ম মেনে হয়েছে। আর এই বিএলও নিয়োগ শুধু বাংলা নয়, সারা ভারত জুড়েই চলছে। ওনাদের সমস্যা থাকলে দিল্লিতে কমিশনের কাছে জানাক না।’

বিএলও পদ প্রত্যাহার
সম্প্রতি, ডায়মন্ড হারবারের বিধানসভা কেন্দ্রের ৮৭ নং বুথের বিএলও মহম্মদ আলাউদ্দিন মোল্লাকে নিযুক্ত পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুভেন্দুর অভিযোগের পরেই জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল, তারপরই সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিএলও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় আলাউদ্দিনকে। রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ছিল, আলাউদ্দিন ‘ফুল-টাইম’ তৃণমূল কর্মী। সরিসার অঞ্চল সভাপতি। তাঁর স্ত্রীও একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours