কিশোরভারতীতে মোহনবাগানের জয়ের চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়াল সমর্থকদের 'ম্যাচ বয়কট'। ইরানে এএফসি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগ ২-র ম্যাচ খেলতে যায়নি মোহনবাগান। গতবছরও যে কারণে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল সবুজ-মেরুনকে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবারও শাস্তির খাড়া নেমে আসতে পারে মোহনবাগানের উপর।


ম্যাচ বয়কটের ডাক বাগান সমর্থকদের, ফাঁকা গ্যালারিতে দুরন্ত ম্যাকলারেনরা


আইএফএ শিল্ডে দাপুটে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করল মোহনবাগান। আই লিগের দল গোকুলম কেরালা এফসিকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিল সবুজ-মেরুন। খেলার প্রথম থেকেই আধিপত্য বজায় রাখলেন রডরিগেজরা। কলকাতা লিগ, ডুরান্ডে ব্যর্থ হওয়ার পর শিল্ডেই ট্রফি জিততে পাখির চোখ করেছে মোলিনার দল। সুপার কাপের আগে শিল্ড যেন প্রস্তুতি পর্ব। কিশোরভারতীতে মোহনবাগানের জয়ের চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়াল সমর্থকদের ‘ম্যাচ বয়কট’। ইরানে এএফসি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগ ২-র ম্যাচ খেলতে যায়নি মোহনবাগান। গতবছরও যে কারণে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল সবুজ-মেরুনকে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবারও শাস্তির খাড়া নেমে আসতে পারে মোহনবাগানের উপর।


গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভের আগুন জ্বালাতে শুরু করেছেন বাগান সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় যার আঁচ তীব্রতর হয়। এমনকি মোহনবাগানের অনুশীলনেও দিমিত্রি, কামিংসদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। বৃহস্পতিবার প্রিয় দলের ম্যাচ বয়কট করলেন অধিকাংশ সমর্থক। ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে লেখা ব্যানার নিয়ে মাঠে প্রবেশ করলেও, পুলিশ সেই ব্যানার সরাতে বাধ্য করে। গঙ্গাপারের ক্লাবে শেষ কয়েক বছর ট্রফির বন্যা বয়েছে। তাও সমর্থকরা মেনে নিতে পারেনি, প্রিয় দলের ইরান না যাওয়া। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন প্রত্যেকে। ভিসা সমস্যার কারণে শুরুতে ইরান যেতে রাজি হয়নি মোহনবাগানের অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলাররা। বাকি বিদেশিরাও সেই তালিকায় নিজেদের নাম সংযোজন করেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে ইরান যেতে রাজি হয়নি মোহনবাগানের ফুটবলাররা। ম্যানেজমেন্টের দাবি, ভারতীয় দূতাবাস বা বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে সুরক্ষার পূর্ণ আশ্বাস বা উত্তর না পাওয়ার কারণেই ইরান যাওয়ার ঝুঁকি নেয়নি মোহনবাগান সুপারজায়েন্ট।


জামা নিংড়ালে হাতে ব্যথা করে? নেপথ্যে কোন কারণ লুকিয়ে?
বিশ্বকাপে হারের হ্যাটট্রিক, গতির জালে পাকিস্তান
শাহরুখের দেশ ছাড়া উচিত? মন্নত নয়, জন্নত প্রসঙ্গ টেনে বিস্ফোরক পরিচালক
এ ঘটনা ভাল ভাবে মেনে নেয়নি সমর্থকদের একাংশ। তাদের দাবি ছিল, দেশিয় স্কোয়াড নিয়েও ইরানে এসিএল টু-র গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলতে যেতে পারত মোহনবাগান। বারংবার একই ঘটনা দেখে রীতিমতো বিরক্ত তারা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এ ধরণের আচরণ মেনে নিতে পারেনি বাগান সমর্থকদের একাংশ। ক্ষোভের আগুন ক্রমেই বেড়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে বোর্ড অব ডিরেক্টরদের পরবর্তী বৈঠকে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন ক্লাব কর্তারা। তাতে যদিও চিড়ে ভেজেনি।

কিশোরভারতীতে এদিন প্রায় ফাঁকা স্টেডিয়ামেই খেলল মোহনবাগান। এএফসিতে না খেললেও এএফসির জার্সিতেই আবার মাঠে নামতেন ম্যাকলারেনরা। আইএফএ সচিব বললেন, ‘শিল্ড অল্প সময়ের মধ্যে আয়োজন করতে হয়েছে। এই টুর্নামেন্ট খেলতে জার্সির জন্য কোনও আলাদা করে কোনও সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়নি। তাই যে কোনও দলই তাদের পছন্দমতো জার্সি পরে মাঠে নামতে পারে।’ মোহনবাগানের হয়ে এদিন জোড়া গোল করেন রডরিগেজ ও ম্যাকলারেন। অপর গোলদাতা রবসন রোবিনহো। তবে এদিন মাঠে ম্যাকলারেনদের পারফরম্যান্সের চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়াল বাগান জনতার একাংশের ‘ম্যাচ বয়কট’। যা অবশ্যই ভাবাতে বাধ্য কর্তাদের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours