বাংলায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বেলাগাম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বণ্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি করা হয়েছিল বলে আদালতে জানিয়েছিলেন কেন্দ্র। পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মালদহ, দার্জিলিং মতো একাধিক জেলায় সমীক্ষা করে দুর্নীতির প্রমাণ উঠে এসেছিল। সেই অভিযোগেই কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেয়।
১০০ দিনের কাজে 'সুপ্রিম নির্দেশ', ভোটের আগে বড় স্বস্তি রাজ্যের
ফাইল ছবি
১০০ দিনের কাজ শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। কাজ শুরু করার নির্দেশ আগেই দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আর কার্যত কোনও জট রইল না। প্রায় চার বছর পর রাজ্যে শুরু হবে ১০০ দিনের কাজ। সেই সঙ্গে সব বকেয়া টাকাও মিটিয়ে দিতে হবে কেন্দ্রকে।
বাংলায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বেলাগাম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বণ্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি করা হয়েছিল বলে আদালতে জানিয়েছিলেন কেন্দ্র। পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মালদহ, দার্জিলিং মতো একাধিক জেলায় সমীক্ষা করে দুর্নীতির প্রমাণ উঠে এসেছিল। সেই অভিযোগেই কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেয়।
পরে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম পুুনরায় রাজ্যে ওই প্রকল্প চালু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে অনন্তকালের জন্য ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া যায় না।’ সেই সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, প্রয়োজনে সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারবে কেন্দ্র। দুর্নীতির তদন্তও চালিয়ে যেতে পারবে বলে জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার।
সোমবার শুনানিতে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রের উদ্দেশে বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চের মন্তব্য, “আপনারা মামলা তুলে নেবেন? না কি আমরা খারিজ করব?” এরপরেই আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ১০০ দিনের কাজের টাকা মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে, দিয়ে দিতে হবে বকেয়া টাকাও।
এই নির্দেশে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি পেয়েছে রাজ্য সরকার। তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এর আগে হাইকোর্ট থাপ্পড় মেরেছিল। এবার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল। এরপরও কেন্দ্রের বাংলা বিদ্বেষ বন্ধ হবে না। এরপরও যদি টাকা না দেয়, তাহলে ওরা নিজেরাই নিজেদের বাংলা বিদ্বেষী বলে তকমা দেবে।”


Post A Comment:
0 comments so far,add yours