১০ বছরে ঐতিহাসিক পরিবর্তন’, ভারতের মেরিটাইম কনক্লেভে আশাবাদী মোদী


ভারতের মেরিটাইম সেক্টরে কীভাবে পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কার আনা হয়েছে, তা এদিন বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও বলেন, "বিশ্বের যে কোনও সমুদ্রতটে গেলেই ভারতের জাহাজ দেখতে পাবেন। ভারত আজ স্থানীয় স্তরে সাপ্লাই চেন আরও পোক্ত করতে চায়। বিশ্বমানের বন্দর তৈরি করা হচ্ছে ভারতে।"

নয়া দিল্লি: ভারতের মেরিটাইম উইকের বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার মুম্বইতে মেরিটাইম লিডারস কনক্লেভে যোগ দিয়েছেন তিনি। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই মেরিটাইম উইকের উদ্বোধন করেন। সাপ্লাই চেইন, গ্রিন শিপিং সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ওই প্লাটফর্মে। সমুদ্রপথে ভারত যে কতটা সাফল্য পেয়েছে, সেই বর্ণনাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

ভারতের মেরিটাইম সেক্টর যে কতটা উন্নয়নশীল, সে কথাও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, পুরনো আইন সরিয়ে আধুনিক মেরিটাইম আইন কার্যকর করা হয়েছে। এর ফলে মেরিটাইম বোর্ডের খুব সুবিধা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদেরও ভরসা বেড়েছে। মোদী আরও উল্লেখ করেন, “ভারতের দীর্ঘ কোস্ট লাইনে ব্যাপক উন্নতি হবে। মেরিটাইম সেক্টরে গত ১০ বছরে যে পরিবর্তন এসেছে, তা ঐতিহাসিক।” ১৫০-র বেশি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্রুজ ট্যুরিজমে নতুন গতি আনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।



ভারতের এই উদ্যোগে সামিল হয়েছিল বিশ্বের ৮৫টি দেশ। প্রতিটি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। তাই এই অনুষ্ঠানকে আদতেই বিশ্বমানের বলে মনে করেছেন মোদী। তাঁর কথায়, এই অনুষ্ঠান পুরো বিশ্বের কাছে এক বার্তা পৌঁছে দেবে।

ভারতের মেরিটাইম সেক্টরে কীভাবে পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কার আনা হয়েছে, তা এদিন বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের যে কোনও সমুদ্রতটে গেলেই ভারতের জাহাজ দেখতে পাবেন। ভারত আজ স্থানীয় স্তরে সাপ্লাই চেন আরও পোক্ত করতে চায়। বিশ্বমানের বন্দর তৈরি করা হচ্ছে ভারতে।”

গ্লোবাল মেরিটাইম সিইও ফোরামে উপস্থিত ছিলেন একাধিক গ্লোবাল মেরিটাইম সিইও, বিনিয়োগকারী, পলিসিমেকার, ইনোভেটর ও ইন্টারন্যাশনাল পার্টনাররা।

গত ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ওই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কথা আগামী ৩১ অক্টোবর। গ্লোবাল মেরিটাইম হাবের পথে ভারত যেভাবে এগোচ্ছে এদিন সেই বর্ণনাও দিয়েছেন মোদী।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours