কিন্তু সাবান কেন? বিষয়টা একটু খোলসা করে বলা যাক! একাধিক সময়ে একাধিক ইস্যুতে শাসকদলের মুখপাত্র হিসাবে সরব হন কুণাল। আরজি করের সময়ে যখন শাসকদলেরই একাংশ নেতৃত্বকে চুপ থাকতে দেখা গিয়েছে, তখনও তিনি সওয়াল করেছেন রাজ্য সরকারের পক্ষে। রাজ্য সরকার যখন একাধিক কাঁটায় বিদ্ধ, তখনও তাঁকে এক কাট্টা লড়াই করতে দেখা গিয়েছে।


আরব থেকে আনা উটের দুধের সাবান মাখছেন কুণাল ঘোষ...বেশ উপকারও পাচ্ছেন, দেখুন VIDEO
কুণাল ঘোষ, তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক


SIR আবহে রাজ্য এখন সরগরম! যুযুধান প্রতিপক্ষের নেতৃত্ব সুর চড়াচ্ছেন নিজেদের সামাজিক মাধ্যমের পেজে! SIR, NRC- আর সেই আবহে আবার CAA- শব্দবন্ধগুলোর চর্চা এখন তুঙ্গে! কিন্তু কুণাল ঘোষ, যাঁকে কিনা প্রায়ই ক্ষেত্রে প্রত্যেক ইস্যুতে নিজের মতামত প্রকাশ করতে দেখা যায়, সেই কুণাল ঘোষ কী বলছেন, সেটা দেখতেই তাঁর সামাজিক মাধ্য়মের পেজ একবার স্ক্রল করা! সত্যিই মিলল কুণাল ঘোষের ভিডিয়ো বার্তা! কিন্তু এর প্রেক্ষাপট SIR, NRC, কেন্দ্র-কমিশনের তুলোধনা নয়, বরং কথা বললেন একেবারে নিজের ব্যক্তিগত একটি বিষয় নিয়ে। স্নানের সময়ে কী সাবান ব্যবহার করেন তিনি! একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কেন সমাজ মাধ্যমে এসে নিজের সাবান সম্পর্কে আলোচনা করবেন! আর সেটাও আবার কুণালোচিত ভঙ্গিমাতেই। যাতে মিশে হালকা শ্লেষ, হালকা কৌতুক, সঙ্গে খোঁচাও বটে।

কিন্তু সাবান কেন? বিষয়টা একটু খোলসা করে বলা যাক! একাধিক সময়ে একাধিক ইস্যুতে শাসকদলের মুখপাত্র হিসাবে সরব হন কুণাল। আরজি করের সময়ে যখন শাসকদলেরই একাংশ নেতৃত্বকে চুপ থাকতে দেখা গিয়েছে, তখনও তিনি রাজ্য সরকার তথা শাসকদলের হয়ে ‘Defen’ করে গিয়েছেন তিনি। আর এই জন্যই শাসকদলের অনান্য নেতার তুলনায় কুণাল ঘোষকে সবথেকে বেশি বিতর্কের মধ্যে থাকতে দেখা গিয়েছে।



ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে আর ফেরা হল না, জগদ্ধাত্রীর মণ্ডপের সামনেই সব শেষ
কেবল এই ইস্যুই নয়, আরও একাধিক বিষয়ে সমালোচিত যে হন, তা নিজেই কার্যত স্বীকার করেছেন কুণাল। তাঁর লড়াই শুধু মাঠে ময়দানে নয়, সামাজিক মাধ্যমেও প্রতি মুহূর্তে শান দেন তিনি। আর এই সব পোস্টের কমেন্ট বক্সে নানা প্রতিক্রিয়ার বন্যা বয়ে যায়। কিন্তু তারপরও তিনি কীভাবে নিরুত্তাপ থাকেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই খাড়া করেন সাবান-তত্ত্ব! আর এটা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আবার ‘ফলোয়ার্স’দের বর্ণমালার ব্যাঞ্জনবর্ণের চারটে বর্ণে বিভক্তও করলেন কুণাল! যেমন, ‘ক’। কুণালের কথায়, এনারা তাঁকে খুব ভালবাসেন। তাঁদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। ‘খ’। যাঁরা নীরবে তাঁর ওপর নজর রাখেন, ‘গ’। যাঁরা তাঁকে ভালবাসেন, কিন্তু তাঁর কাজের প্রয়োজন বিশেষে সমালোচনাও করেন, তবে তা গঠনমূলকভাবে। আর সর্বোপরি ‘ঘ’। শ্রেণিতে তাঁরা পড়েন, যাঁরা নিজেদের হতাশা তাঁর পোস্টে গিয়ে ব্যক্ত করেন। আর এই পোস্ট মূলত তাঁদেরই উদ্দেশে।

কুণাল তাঁর ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, তিনি কীভাবে সমালোচকদের কথা এড়িয়ে চলতে পারেন। তাঁর বক্তব্য, তিনি একটি বিশেষ ধরনের সাবান স্নানের সময় ব্যবহার করেন। যে সাবান উটের দুধের তৈরি। আর সেই সাবানেই রয়েছে বিশেষ কেরামতি, কুণালের কথায় ‘ম্যাজিক্যাল এফেক্ট’! যাঁরা তাঁকে কটূক্তি করেন, তা তাঁর শরীর স্পর্শ না করে রিভার্সে আবার সেই সমালোচকদেরই গায়ে গিয়েই লাগে। সেই সাবান তাঁর চামড়ায় তৈরি করছে এই বিশেষ এফেক্ট! কারণ সমালোচকরা তাঁর পোস্ট থেকে বেরোতেই পারবেন না। আর তাতেই তাঁর প্রতি নেশাগ্রস্ত হয়ে যাবেন তাঁর প্রতি।


সাবানটাও দেখান নিজের পোস্টে। আরব থেকে বিশেষ সাবান আনিয়েছেন তিনি। নাম, ‘ক্যামেল মিল্ক সোপ’! কুণালের দাবি, মরুভূমিতে তৈরি এই সাবান ট্রোলারদের জন্য দারুণ কাজ করে! দর্শকদেরও স্নানের সময়ে এই সাবান মাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours