অনেকেই মনে করেছিলেন রাজনন্দিনী ছোটপর্দায় হয়তো কাজ করবেন না, তবে অতীতে
দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন...
'আমি নিজেকে তৈরি করে যাব...', নতুন রূপে-নতুন
এ জন্মদিনটা অভিনেত্রী রাজনন্দিনী পালের কাছে খানিকটা আলাদা। কারণ রাত পোহাতেই পর্দায় নয়া অবতারে হাজিরা। সোমবার অর্থাৎ ৭ জুন থেকে স্টার জলসায় রাত ৮:৩০ মিনিটে শুরু হচ্ছে ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’। যার নাম ভূমিকায় রাজনন্দিনী পাল। ইতিমধ্যেই তাঁর লুক সকলের নজর কেড়েছে। মাথায় মুকুট, পরণে লাল টুকটুকে বেনারসী। সেই পর্দার রানিমাই পালকী করে নেমে এসেছিলেন রাজপথে। হয়েছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। সে এক রাজকীয় আয়োজন। পথচলতি মানুষ থমকে গিয়েছিলেন। আনন্দ উৎসবে গা ভাসিয়েছিলেন অনেকেই। বিশাল শোভা যাত্রার মাঝে রাজনন্দিনীর লুক যেন সকলকে মুগ্ধ করেছিল। সেই মুহূর্তের সাক্ষী ছিল
রাজনন্দিনী বরাবরই মাইথলজিক্যাল চরিত্র পছন্দ করেন। ২০২৪ সালে তাঁর ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ও সকলের নজর কেড়েছিল। নাচ তাঁর রক্তে, অভিনয়ও। ফলে যে কোনও চরিত্রকেই নিজের করে নিতে বেশি সময় নেন না নায়িকা। এই চরিত্রের জন্যেও নিজেকে তৈরি করেছেন বেশ কিছুটা সময় ধরে। তবে অনুকরণে বিশ্বাসী নন রাজনন্দিনী। কারও কাজ দেখে সেখান থেকে শিখতে পছন্দ করেন, শেখার চেষ্টাও করেন, তবে কোনও কাজ দেখে ঠিক তারই মতো চরিত্রকে বুঁনতে পছন্দ করেন না, বলেই নায়িকা জানিয়েছিলেন
অনেকেই মনে করেছিলেন রাজনন্দিনী ছোটপর্দায় হয়তো কাজ করবেন না, তবে অতীতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, “টেলিভিশন করতে চাই না এমনটা নয়। তবে আমার ভীষণ লোভ। ভাল চরিত্রের লোভ। টাকা নয়, অভিনয়ের। আমার ভীষণ খিদে, ভাল-ভাল চরিত্রের খিদে। আমি চাই কোনও একটা চরিত্র হয়ে উঠতে, সেটাকে নিজের করে গড়ে তুলতে, তারপর কাজ শেষে আবার অন্য চরিত্রের খোঁজ। এটা আমার সৌভাগ্য, আমি যখন স্কুলে পড়ে বিভিন্ন চ্যানেল থেকে আমায় কাজের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি নিজেকে তৈরি করে যাব। সিরিয়ালে কাজ করার কিন্তু অনেক মজা। কাজটা দ্রুত শেখা যায়, সংলাপ মুখস্থ করার অভ্যাস তৈরি হয়।”


Post A Comment:
0 comments so far,add yours