এক্স হ্যান্ডলে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, "ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি অন্ধকার অধ্যায়ের ৫০ বছর পূর্ণ হল। ভারতের মানুষ দিনটিকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। এই দিনে ভারতীয় সংবিধানের মূল্যবোধ সরিয়ে রেখে মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।"


অন্ধকার অধ্যায় মানুষ কখনও ভুলবে না', জরুরি অবস্থায় মোদীর স্মৃতি নিয়ে আসছে বই
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির ৫০ বছর পূর্ণ। এই নিয়ে বুধবার কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন এক্স হ্যান্ডলে তিনি একাধিক পোস্ট করেন। ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে জরুরি অবস্থা জারি একটি অন্ধকার অধ্যায় বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানের ভাবনা যেভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছিল, কোনও ভারতীয় তা কোনওদিন ভুলবেন না। সংবিধানের আদর্শকে আরও শক্তিশালী করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য বলে তিনি মন্তব্য করেন।


আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। সেইসময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ২১ মাস ধরে দেশে জরুরি অবস্থা জারি ছিল। এই নিয়ে কংগ্রেসকে নানা সময় আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত বছর জরুরি অবস্থা জারির দিনটিকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। আর জরুরি অবস্থা জারির ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ার দিনে এক্স হ্যান্ডলে একগুচ্ছ পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী।

মোদী লেখেন, “ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি অন্ধকার অধ্যায়ের ৫০ বছর পূর্ণ হল। ভারতের মানুষ দিনটিকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। এই দিনে ভারতীয় সংবিধানের মূল্যবোধ সরিয়ে রেখে মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বহু রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্র এবং সাধারণ মানুষকে জেলে পাঠানো হয়েছিল।”

জরুরি অবস্থার সময় মোদীর জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই এদিন উদ্বোধন করা হবে। ‘দ্য এমারজেন্সি ডায়েরিজ’ নামে বইটির উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেইসময় মোদীর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানাবেন। বইটির ভূমিকা লিখেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া। জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন দেবগৌড়া। এদিন এক্স হ্যান্ডলে মোদী লেখেন, “যখন জরুরি অবস্থা জারি হয়, তখন আমি আরএসএস-র যুব প্রচারক ছিলাম। জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন আমার কাছে শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা ছিল।”

জরুরি অবস্থার স্মৃতি যাঁরা বহন করে চলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, “এর ফলে ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ওই লজ্জাজনক সময় নিয়ে যুব সমাজের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours