শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে মহম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬-এর এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে যে কোনও দিন হবে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন।


রমজানের মাঝে কেন! ভোটের কথা ঘোষণা করেও চাপ কমছে না ইউনূসের
মহম্মদ ইউনূস।


বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের অন্দরে চাপ বাড়ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের উপর। আগামী বছরের জুনে নয়, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সরব হয়েছিল সে দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। প্রশ্ন উঠছিল, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদ থেকে কি সরতে চাইছেন না মহম্মদ ইউনূস? শেষ পর্যন্ত শুক্রবার ভোটের কথা শোনা গিয়েছে ইউনূসের মুখে। তবে তারপরও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন কি?


মহম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, ২০২৬-এর এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে যে কোনও একটি দিন হবে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন। কতটা সুষ্ঠ, দুর্নীতিমুক্ত নির্বাচন তিনি চান, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন ইউনূস। কিন্তু তারপরও প্রশ্ন উঠছে, সময় নষ্ট করতেই কি এপ্রিল মাসটা বেছে নিলেন ইউনূস? বিএনপি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তারা তাদের অবস্থানে অনড়।

শুক্রবার বিএনপি-র একটি বৈঠক হয়, সেখানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এরপরই দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি-র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁদের অবস্থানের কথা।


বিএনপি-র বক্তব্য, এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হলে আবহাওয়া থাকবে প্রতিকূল। এছাড়া সেই সময় রমজানও চলবে। প্রবল গরমে ও রমজানের মধ্যে প্রচার করতে অসুবিধা হতে পারে। বিএনপি-র আশঙ্কা পরিস্থিতি এমনও হতে পারে যে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়া ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কেন সম্ভব নয়, তার ব্যাখ্যাও ইউনূসের কাছে দাবি করেছে বিএনপি। এ ক্ষেত্রে ইউনূস যে নিরপেক্ষ মতামত দেননি, তেমনটাই দাবি বিএনপি-র।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours