বিচারপতি অমৃতা সিংহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন-- টলিউডে কেউ যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান, তাঁর কাজে বাধা দেওয়া যাবে না। কোনও সংগঠন কখনই কারও জীবিকা না ব্যবসা বন্ধ করতে পারে না, সেই অধিকার তাদের নেই।
'কেউ এসে বুঝিয়ে যাক, তোমরা পাপী, অপরাধী...',
কাটছে না টলিপাড়ার জটিলতা, আবারও শুটিং সেটে অচলাবস্থা। পরিচালক কিংশুক দের শুটিং সেটে সোমবার উপস্থিত থাকলেন না কেউ। বেশ কিছু মাস ধরেই ফেডারেশন ও পরিচালকের মধ্যে বিবাদের খবর সামনে উঠে আসতে দেখা গিয়েছিল। যেখানে একাধিকবার শোনা যায় ফেডারেশন-এর বেশ কিছু বিধিনিষেধ নিয়ে সমস্যার কথা, যা আগেই জানিয়েছিলেন পরিচালকদের একাংশ। যদিও সম্প্রতিতে সেই সমস্যার সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা হলেও স্বস্তি মেলেনি ইন্ডিপেনডেন্ট পরিচালকদের। আর সেই সূত্রেই উচ্চ আদালতের দরজায় পৌঁছে গিয়েছিলেন পরিচালকেরা। আর সেখান থেকেই শেষ হওয়া শুনানিতে মিলেছিল কড়া নির্দেশ।বিচারপতি অমৃতা সিংহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন– টলিউডে কেউ যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান, তাঁর কাজে বাধা দেওয়া যাবে না। কোনও সংগঠন কখনই কারও জীবিকা না ব্যবসা বন্ধ করতে পারে না, সেই অধিকার তাদের নেই।
এখানেই শেষ নয়, সেদিন কলকাতা হাইকোর্টের তরফে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, কোনও সংগঠন যাতে কারও কাজ বন্ধ না করে সেটা নিশ্চিত করবে। এতেও যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে পরিচালকরা পুলিশের সাহায্য নিতে পারবেন। এমনটাই নির্দেশ ছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
তবে আবারও টলিপাড়ায় দেখা দিল সেই একই ছবি। পরিচালক কিংশুক দের শুটে যথাসময় হাজির হলেন না কেউ। হাইকোর্টের নির্দেশের পরও অচলাবস্থা কাটল না টলিপাড়ার। এবার উঠল, পরিচালক কিংশুক দের ছবিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ, ফেডারেশন পরিচালকের কল টাইমের উত্তর দেয়নি। ফলে আবারও পাশে দাঁড়াল পরিচালক সমিতি।
কিংশুক দের পরিচালনায় আজ (৯ জুন) সারাদিন শুট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল হতেই দেখা গেল, সেই শুট হচ্ছে না। শুটিং সেটে পরিচালক-প্রযোজক সকলেই বসে রয়েছেন। কথা প্রসঙ্গে জানা যায়, গিল্ডের তরফ থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। যাঁরা প্রতিদিন কাজে আসেন, তাঁরা কেউ বেলা বাড়লেও এসে পৌঁছাননি। নানা পরিকল্পনা থাকার পরও, এদিন শুট হল না। কবি বলেন, “সামনেই আদালতের একটি তারিখ রয়েছে। আমরা আদালতকে জানাবো। গত শুনানিতে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমাদের শুটে যদি বাধা দাওয়া হয়, আমরা যেন রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের সচিবকে জানাই। ফলে আমরা জানাব, আদালতের যে নির্দেশ তাঁরা সেটা মানেনি। এবার সরকার ও আদালতকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।”
এই একই প্রসঙ্গে আবারও সরব হলেন পরিচালক অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
তিনি বললেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত আদালতে আছি, আমাদের আরেকটা শুনানি আসছে। আমাদের যে লড়াই, চেষ্টা করব সেটা চালিয়ে যাওয়ার। আপনারা বুঝতেই পারছেন যে, আমরা অসহযোগিতার কারণে কাজ করতে পারছি না। আমাদের মাটিতে, আদালতে এই লড়াই চালিয়ে যেতেই হবে। কাউকে এসে আমাদের একটু বুঝিয়ে যেতে হবে– ‘তোমরা পাপী, অপরাধী, তোমরা মারাত্মক অন্যায় করেছো’। আমার মাস্টারমশাইরা আমায় ছোটবেলা থেকে শিখিয়ে এলেন, প্রশ্ন করো। এখন প্রশ্ন করে দেখলাম, যে প্রশ্ন করার থেকে বড় অপরাধ আর কিছুই হতে পারে না।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours