সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই বলতে থাকেন, 'আয়...আয় এদিকে, কিচ্ছু হবে না, কেউ গায়ে হাত দেবে না। আমি আছি তো... ' দু'হাত ধরে টেনে আনেন গাড়ির সামনে। বলেন, "শো এবার, কত শুবি আর... শো এখানে... দেখি কত শুতে পারিস... আমি শোব..."


শো শো এখানে.. আমিও শোব তোর সঙ্গে...', আন্দোলনকারীকে শোয়ানোর চেষ্টা সব্যসাচীর, ক্যামেরাবন্দি সে কীর্তি
'বেপরোয়া' সব্যসাচী দত্ত


বিকাশভবনে তিনি নাকি কাজে গিয়েছিলেন। বিকাশভবনে আগে থেকেই সেখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন চাকরিহারারা। বিকাশভবন পৌঁছতেই চাকরিহারাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সব্যসাচী দত্ত। প্রথম পর্যায়ে তিনি বেশ নমনীয়। তখন আন্দোলনকারীদের মাঝে পড়ে অত্যন্ত নমনীয় সুর সব্যসাচীর গলায়। তিনি বলছিলেন, “আসলে ওরা আবেগে এরকম করছে। কাকে বিক্ষোভ দেখাবে, সেটা বুঝতে পারছে না।” সব্যসাচীর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তখনও চুপচাপ সব্যসাচী গাড়িতে বসে ছিলেন।

এটা হল, প্রথম চিত্র। আর পনেরো মিনিটের মধ্যেই বদলে যায় গোটা চিত্র। হঠাৎ করে চলে আসে সব্যসাচীর অনুগামীদের দলবল। ব্যস, মুহূর্তে যেন অক্সিজেন পেয়ে যান সব্যসাচী। তারপরই দাবাং মুডে। তিনি নিজেই টেনে সরাতে থাকেন আন্দোলনকারীদের। যে আন্দোলনকারী তাঁর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েছিলেন, দলবল পাকিয়ে সেই আন্দোলনকারীকে দু’হাত ধরে টেনে আনেন।

সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই বলতে থাকেন, ‘আয়…আয় এদিকে, কিচ্ছু হবে না, কেউ গায়ে হাত দেবে না। আমি আছি তো… ‘ দু’হাত ধরে টেনে আনেন গাড়ির সামনে। বলেন, “শো এবার, কত শুবি আর… শো এখানে… দেখি কত শুতে পারিস… আমি শোব…” 


এদিকে, যখন আন্দোলনকারীদের হুমকি দিচ্ছেন সব্যসাচী, অন্যদিকে, তাঁর অনুগামীরা হামলা চালাচ্ছে 
 সাংবাদিকের ওপর। চিত্র সাংবাদিককে মেরে ঠোঁট ফাটিয়ে দেওয়া হয়।

সাংবাদিক সুমন মহাপাত্রকে বুকে ধাক্কা দিয়ে ঠেলে সরিয়ে দেয় এক যুবক। তাঁর ছবি ধরা পড়ে আমাদের ক্যামেরায়। এদিকে, অনুগামীদের দেখেই একেবারে দাবাং মুডে চলে যান সব্যসাচী। নিজেই ঠেলে সরাতে থাকেন ভিড়। সব্যসাচীর হুমকি, “আমার এসব সরাতে ৩০ সেকেন্ডও সময় লাগবে না।” রীতিমতো হুমকি দিতে থাকেন পুলিশের সামনেই।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours