ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলনের নামে রীতিমতো তাণ্ডব চলে মুর্শিদাবাদে। গত এপ্রিলে সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তির আগুন ছড়ায় গোটা জেলায়। আধাসেনা নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। সেই অশান্তি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে।


মুর্শিদাবাদের নিরাপত্তা নিয়ে হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলতেই পহেলগাঁওয়ের উদাহরণ দিলেন কল্যাণ
কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল কল্যাণের


রাজ্যে পুলিশকর্মীর সংখ্য়া নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। পর্যাপ্ত পুলিশ থাকলে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হত বলেই মন্তব্য করলেন বিচারপতি। আর সেই প্রশ্ন উঠতেই কাশ্মীরের জঙ্গি হামলার কথা বললেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।


ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলনের নামে রীতিমতো তাণ্ডব চলে মুর্শিদাবাদে। গত এপ্রিলে সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তির আগুন ছড়ায় গোটা জেলায়। আধাসেনা নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। সেই অশান্তি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই বিচারপতি রাজ্যকে নির্দেশ দেন পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মী নিয়োগ করার। বিচারপতি সেন বলেন, “প্রতি জেলায় পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম আছে। মুর্শিদাবাদেও পুলিশের সংখ্যা অনেক কম। যদি পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী থাকত তাহলে হয়ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হত।”

বিচারপতির এই কথা শুনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি পহেলগাঁওয়ের উদাহরণ টানেন। তিনি বলেন, “গোটা দেশেই বাহিনী কম আছে। পর্যাপ্ত বাহিনী থাকলে পহেলগাঁও-এর ঘটনা ঘটত না।” এ কথা শুনে বিচারপতি সেন বলেন, “সেটা ঠিক, কিন্তু এখন এখানকার কথা চিন্তা করা যাক। প্রতিটি জায়গায় নূন্যতম বাহিনী থাকতে হবে তো।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন, সে কথা এদিন আদালতে উল্লেখ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, সেই ক্ষতিপূরণ আদৌ পর্যাপ্ত কি না। বিচারপতি বলেন, “আপনারা যেটাকে পর্যাপ্ত বলে মনে করছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে সেটা পর্যাপ্ত বলে মনে নাও হতে পারে।”

এদিকে, কেন্দ্রের তরফ থেকে রিপোর্ট দিয়ে জানানো হয়েছে আদালত নির্দেশ দিলে তদন্তভার নিতে প্রস্তুত কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ (NIA)। রাজ্যে কমপক্ষে ১৫টি জায়গায় অশান্তি হতে পারে, কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পত্তির ওপর আক্রমণ করা হতে পারে, এই আশঙ্কার কথা গত ১৮ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে জানানো হয়েছিল। রিপোর্ট এ কথাও এদিন জানিয়েছে কেন্দ্র।

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এদিন নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৩১ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানিক দিন ধার্য করা হয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours