জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, "আমরা সীমান্ত সংক্রান্ত এলাকার বাসিন্দা। এই মুহূর্তে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহে জঙ্গিদের স্লিপার সেলগুলো অ্যাক্টিভেট হয়ে গিয়েছে।
জঙ্গিরা ভাড়াটিয়া সেজে এই শহরে আশ্রয় নিয়ে কোনও নাশকতামূলক কাজ না করতে পারে তার জন্য আমাদের কড়া নজরদারি রাখতে হবে।
বাংলায় সক্রিয় জঙ্গিদের স্লিপার সেল? বড় দাবি তৃণমূল নেতার
প্রতীকী ছবি
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে জেগে উঠেছে জঙ্গিদের স্লিপার সেল। ভাড়াটিয়া সেজে আশ্রয় নিতে পারে জলপাইগুড়ি শহরেও। তাই এলাকায় কোনও নতুন ভাড়াটিয়া এলে তাদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড-সহ নানা তথ্য যাচাই করে সেই তথ্য পুলিশ ও পৌরসভাকে দিতে নির্দেশ দিলেন জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জলপাইগুড়ি পৌরসভার অফিসে শনিবার দমকল বাহিনীর পক্ষ থেকে মক ড্রিল করা হয়। কোনও হামলা হলে কীভাবে তার মোকাবিলা করতে হবে, তা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেখানে তৃণমূল নেতা তথা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পৌরসভার সব কাউন্সিলর এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনেটারি সুপারভাইজারদের বলা হয়েছে, কেউ বাড়িতে নতুন ভাড়াটিয়া রাখলে সেই ভাড়াটিয়ার যাবতীয় তথ্য পুলিশ এবং পৌরসভাকে দিতে হবে।”
তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়
নিজেই তার কারণ ব্যাখ্যা করে জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা সীমান্ত সংক্রান্ত এলাকার বাসিন্দা। এই মুহূর্তে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহে জঙ্গিদের স্লিপার সেলগুলো অ্যাক্টিভেট হয়ে গিয়েছে। জঙ্গিরা ভাড়াটিয়া সেজে এই শহরে আশ্রয় নিয়ে কোনও নাশকতামূলক কাজ না করতে পারে তার জন্য আমাদের কড়া নজরদারি রাখতে হবে। দেখা গেল পাড়ায় ভাড়া এসেছে, অথচ ঘর থেকে বের হয় না। অন্য কেউ তার বাজার করে দিচ্ছে। ওষুধ এনে দিচ্ছে। এদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ জঙ্গিদের স্লিপার সেলগুলো স্থানীয় মানুষের সাহায্য ছাড়া কাজ করতে পারে না।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours