মনে করা হচ্ছে, অপারেশনের সময়েও জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে কথা চালিয়ে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে এই অ্যাপ ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। যে সময়ে ঘটনা ঘটেছে, বৈসরন ভ্যালিতে ঢোকার মুখের রাস্তায় পর্যটকদের পাশাপাশি, সাধারণ স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ছিলেন।
সেনার চোখে ধূলো দিতে জঙ্গিরা ব্যবহার করেছিল বিশেষ অ্যাপ! কীভাবে কাজ করে সেই অ্যাপ?
জঙ্গিরা ব্যবহার করেছিল বিশেষ অ্যাপ!
পহেলগাঁওয়ে পাইনের জঙ্গল পেরিয়ে রাস্তা চিনে রিসর্টে হামলার করার ক্ষেত্রে বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। অ্যালপাইন কোয়েস্ট এনক্রিপ্টেড অ্যাপের সাহায্যে অপারেশন চালানো হতে পারে। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন সেনা ও গোয়েন্দা আধিকারিকরা। বৈসরন ভ্যালি অত্যন্ত দুর্গম। ঘন পাইনের জঙ্গলের ভিতরে কাজ করে না কোনও নেটওয়ার্ক। সেখানে বিশেষভাবে সক্রিয় এই অ্যাপ। ইন্টারনেট ছাড়াও অবিরাম সংযোগ বজার রাখা যাবে।
মনে করা হচ্ছে, অপারেশনের সময়েও জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে কথা চালিয়ে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে এই অ্যাপ ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। যে সময়ে ঘটনা ঘটেছে, বৈসরন ভ্যালিতে ঢোকার মুখের রাস্তায় পর্যটকদের পাশাপাশি, সাধারণ স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ছিলেন। ২০ মিনিট ধরে অপারেশন চালিয়েছিল জঙ্গিরা। কিন্তু পুলিশ বা সেনাবাহিনীর তরফ থেকে কোনও প্রত্যাঘাত আসার কোনও ভয় ছিল না তাদের। কারণ তাদের আরেকটা টিম সমানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মুভেমেন্টের ওপর নজর রাখছিল। সেই খবর তাদের কাছে দেওয়া হচ্ছিল। তাতেই নিশ্চিন্তে অপারেশ চালিয়ে গিয়েছে তারা। আর সেই সমস্ত কথোপকথন তারা চালিয়ে গিয়েছে এই সুনির্দিষ্ট অ্যাপের সাহায্যেই। সাধারণ মানুষ যে ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে যোগাযোগ করে থাকেন, তা করে থাকলে তথ্য তদন্তকারীদের হাতে চলে আসত। আর সেটা এড়াতেই বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করেছে জঙ্গিরা। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় হতে পারে, হিউম্যান নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকতে পারে জঙ্গিরা। তবে এটা অসম্ভব বলেই মনে করছে সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাদের একাংশ। কারণ হিউম্যান নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হলে, একটি হিউম্যান চেইন তৈরি করতে বেশি সংখ্যক মানুষের প্রয়োজন। সেই সাপোর্ট ওই এলাকায় জঙ্গিদের নেই বলেই পুলিশের দাবি। এই সব কটি বিষয়কে এখন খতিয়ে দেখছেন সেনা আধিকারিকরা
Post A Comment:
0 comments so far,add yours