পাওয়ার হিটিংয়ের আরও একটা ঝলক দেখালেন জস বাটলার। আইপিএলের মঞ্চে তাঁর এমন ব্যাটিং নতুন নয়। টাইটান্স জার্সিতে প্রথম সেঞ্চুরিটা অবশ্য এল না। ৯৭ রানে অপরাজিত।


বাটলারের জোশ! গরমের সঙ্গে দিল্লিকেও হেলায় হারাল গুজরাট টাইটান্স


প্রচণ্ড গরম। দর্শকদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করেছিল গুজরাট টাইটান্স। ঘরের মাঠে ম্যাচ হলেও জোড়া প্রতিপক্ষ। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালস এবং তীব্র দাবদাহ। দুটোর বিরুদ্ধেই জিতল গুজরাট টাইটান্স। বাটলারের জোশ গুজরাট টাইটান্সকে জয়ে ফিরতে সাহায্য করল। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে পাওয়ার হিটিংয়ের আরও একটা ঝলক দেখালেন জস বাটলার। আইপিএলের মঞ্চে তাঁর এমন ব্যাটিং নতুন নয়। টাইটান্স জার্সিতে প্রথম সেঞ্চুরিটা অবশ্য এল না। ৯৭ রানে অপরাজিত। ২০৪ রান তাড়ায় ৪ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের বড় জয় গুজরাট টাইটান্সের।


কখনও ইশান্ত শর্মা, আমার কখনও অক্ষর প্যাটেল। রান নিতে গিয়ে বা ফিল্ডিংয়ে। প্রচণ্ড গরমের কারণে ক্র্যাম্পের বেশ কিছু দৃশ্য। গরমের জন্যই যে এমন পরিস্থিতি, বলার অপেক্ষা রাখে না। এ বারের আইপিএলে অন্যতম ধারাবাহিক দল দিল্লি ক্য়াপিটালস। মাত্র এক ম্যাচে হেরেছিল তারা। দিল্লির বিরুদ্ধে লড়াইটা সহজ ছিল না। গরমে কাজটা আরও কঠিন হয়। তবে জস বাটলারের সৌজন্যে স্বস্তি।

ঘরের মাঠে টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন টাইটান্স ক্যাপ্টেন শুভমন গিল। আমেদাবাদের পাটা পিচে ২০০ প্লাস স্কোর নতুন নয়। দিল্লির ওপেনিং জুটিতে বদল আনা হয়। ধারাবাহিক ব্যর্থ জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুক বাদ। অভিষেক পোড়েলের সঙ্গে ওপেন করেন করুণ নায়ার। বিধ্বংসী শুরুর পর দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন অভিষেক। দিল্লি ক্যাপিটালসের টপ ও মিডল অর্ডারের সকলেই চালিয়ে খেলেন। যদিও প্রয়োজন ছিল, কোনও একটা দিক আগলে রাখার। তা অবশ্য হয়নি। স্লগ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে টাইটান্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৩ রান তোলে দিল্লি।


রান তাড়ায় শুরুতেই করুণ নায়ারের বুলস আইয়ের শিকার টাইটান্স। দ্বিতীয় ওভারে ডিরেক্ট থ্রোয়ে টাইটান্স ক্যাপ্টেন শুভমনকে ফেরান করুণ। সাই সুদর্শনের সঙ্গে যোগ দেন জস বাটলার। সাই এদিনও দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ৩৬ রানে তিনি ফিরলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো হয় শেরফান রাদারফোর্ডকে। একটা সময় মনে হচ্ছিল অনেক আগেই জিতে যাবে টাইটান্স। তবে রাদারফোর্ডের উইকেটে অপেক্ষা বাড়ে।

জস বাটলারের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন রাহুল তেওয়াটিয়া। এসেই সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইক কাছে রাখেন। শেষ ওভারে ১০ রানের টার্গেট দাঁড়ায় টাইটান্সের। বাটলারের সেঞ্চুরির জন্য প্রয়োজন ছিল ৩ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। স্টার্ককে ছয় মেরে স্বাগত জানান। পরের ডেলিভারি লেগস্টাম্পে ইয়র্কার। বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ ফিনিশ রাহুলের। বাটলারের সেঞ্চুরিটা হয়নি, টাইটান্স সমর্থকদের যেন এই আক্ষেপ থাকতেই পারে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours