প্রতিটি কথায় শ্লেষ ঝরে পড়ছে। কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই চাকরিহারা। চিকিৎসককে সামনে পেয়েও নিজের কষ্টের কথা বলতে থাকেন চাকরিহারারা। এক চাকরিহারা বলেন, "আমার বাচ্চাটা কী খাবে স্যর! আপনারা তো দেখছেন আমাদের অবস্থা, কিছু করুন স্যর। আমাদের বাচ্চার ইচ্ছাটাই শেষ।"


আমাদের শরীরটাই রয়ে গিয়েছে, আত্মা মরে গিয়েছে...' , নাছোড় আন্দোলনে নেমে অসুস্থ হতে শুরু করেছেন চাকরিহারারা
অসুস্থ হয়ে পড়লেন চাকরিহারা

কথা দিয়েও তালিকা প্রকাশ করেনি এসএসসি। নাছোড় আন্দোলনে চাকরিহারারা। রাতভর মধ্য়শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে অবস্থান বিক্ষোভে চাকরিহারারা। সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক চাকরিহারা। তাঁকে দেখতে এলেন চিকিৎসক তমোনাশ ঘোষ। তাঁর পালস রেট মাপেন চিকিৎসক। সঙ্গে সঙ্গেই ওআরএস খাওয়ানো হয় তাঁকে। পাশে, মাথার কাছে বসে তাঁর সহযোদ্ধারা। চিকিৎসক যখন ওই চাকরিহারা মহিলার পালস রেট দেখছিলেন. সহযোদ্ধারা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘চিকিৎসা করতে হবে না, আমরা এখানেই মরব।’ প্রতিটি কথায় শ্লেষ ঝরে পড়ছে। কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই চাকরিহারা। চিকিৎসককে সামনে পেয়েও নিজের কষ্টের কথা বলতে থাকেন চাকরিহারারা। এক চাকরিহারা বলেন, “আমার বাচ্চাটা কী খাবে স্যর! আপনারা তো দেখছেন আমাদের অবস্থা, কিছু করুন স্যর। আমাদের বাচ্চার ইচ্ছাটাই শেষ।”


ওই চাকরিহারার অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক। চিকিৎসক বলেন, “শরীর থেকে জল বেরিয়ে গেছে প্রচুর। পর্যাপ্ত জলও রাস্তায় পাচ্ছে না। ওরা জল খেতেও পারছে না। জল খাওয়ার পর বাথরুম যেতে হলেও সমস্যা। কারণ এখানে সমস্ত বাথরুম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্বাভাবিকভাবে মহিলারা অনেক কম জল খেয়েছেন, বাথরুম যেতে পারবেন না বলে। শরীরে ডিহাইড্রেশন দেখা দিচ্ছে।”

কিন্তু শত কষ্টেও যতক্ষণ না ফয়সলা না হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা এখানেই বসে থাকবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এক চাকরিহারা বলেন, “আমাদের বাড়ির লোক তো আমাদের মুখে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। আমরা কী করব? আমাদের জন্য সরকার না ভাবে, আমরা এটাই চালিয়ে যাব। আমরা মরে গিয়েছি। আমাদের শুধু শরীরটা রয়েছে, আত্মা শেষ হয়ে গিয়েছে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours