পহেলগাঁওয়ের টুরিস্ট স্পটগুলো ঘুরে বিশ্রাম নিতে অভিশপ্ত সেই রিসর্টে ঢুকেছিলেন সমীর গুহ। বিকালে পর থেকে টিভিতে যখন তাঁর আত্মীয়- পরিচিতরা যখন টিভি খবর দেখছিলেন তখনই বুকটা ছ্যাৎ করে উঠেছিল তাঁদের। তখন থেকেই ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু ফোনে পাননি।


রাত তখন তিনটে, ফোনটা আসে!' স্ত্রী-সন্তানের সামনেই জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন বেহালার সমীর গুহ! ঠিক কী ঘটেছিল পহেলগাঁওয়ের রিসর্টে?
পহেলগাঁওতে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত সমীর গুহ


‘হ্যাঁ রে, সমীরদা নেই তো ওঁদের মধ্যে? কিছু হয়নি তো? সব ঠিক আছে তো?’… টিভিতে খবরটা দেখার পর থেকেই মনটা কু ডাকছিল পড়শি-স্বজনদের! কিন্তু সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়ে গেল… ফোনটা এল রাত তিনটেয়।


পাড়ার ক্লাবে দারুণ ভাবে অ্যাক্টিভ। খুব তাড়াতাড়ি মিশে যেতেন মানুষের সঙ্গে। পাড়ার অত্যন্ত ‘জলি সমীরদা’ ভালবাসতেন ঘুরে বেড়াতেও। সেই ‘সমীরদাই’ নাকি ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছেন জঙ্গিদের গুলিতে! ভাবতেও পারছেন না বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দারা। মেয়ের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পরই প্ল্যান করে ছিলেন কাশ্মীর ঘুরতে যাওয়ার। গত ১৬ তারিখ স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে কাশ্মীর ঘুরতে যান সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর গুহ। পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার নিহত তিনি। স্ত্রী-মেয়ের সামনেই অভিশপ্ত সেই রিসর্টের ভিতরে জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান সমীর গুহ।

পহেলগাঁওয়ের টুরিস্ট স্পটগুলো ঘুরে বিশ্রাম নিতে অভিশপ্ত সেই রিসর্টে ঢুকেছিলেন সমীর গুহ। বিকালে পর থেকে টিভিতে যখন তাঁর আত্মীয়- পরিচিতরা যখন টিভি খবর দেখছিলেন তখনই বুকটা ছ্যাৎ করে উঠেছিল তাঁদের। তখন থেকেই ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু ফোনে পাননি। রাত তিনটেয় পহেলগাঁও- থেকেই আসে একটা ফোন। সমীর গুহর গাড়ি চালকের। তারপর সংবাদমাধ্যমে-টিভির পর্দায়। কেউ কখনও ভাবতেও পারেননি, জঙ্গি হামলায় এভাবে শেষ হয়ে যেতে হবে সমীর গুহকে। গাড়ি চালক ফোন করেছিলেন সমীর গুহর শ্যালক সুব্রত ঘোষকে। ফোনটা পেয়ে গোটা আকাশ যেন ভেঙে পড়ে তাঁদের মাথায়। বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। কীভাবে হয়েছে, কী হয়েছে, এত বর্ণনা শুনতে চাননি তাঁরা। শুধু শুনেছিলেন, স্ত্রী-সন্তানের সামনেই ঝাঁঝরা হয়েছেন সমীর।


সুব্রত ঘোষ বলেন, “আমরা রাত তিনটেয় খবর পাই। সন্ধ্যা থেকে টিভিতে দেখছিলাম। কিন্তু তখনও এমন কিছু হতে পারে, ভাবিনি। পহেলগাঁওতে হোটেলে থাকার কথা ছিল, কিন্তু সেখানে না থেকে রিসর্টে থাকেন। আমরা আর কিচ্ছু জানতে চাইনি। আমরা তো ভেবেছিলাম, কাশ্মীর এখন শান্ত। কিন্তু আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল, কাশ্মীর যে কে সেই রয়েছে!” বেছে বেছে হিন্দুদের খতম করেছে জঙ্গিরা। আরও একবার কাশ্মীর দেখাল বিভৎসতা। মঙ্গলবার দুপুরে কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার ওই পর্যটনকেন্দ্রের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলা হয়। বৈসরন উপত্যকায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের একটি দলকে লক্ষ্য করে চলে হামলা। তাতে তিন বাঙালি পর্যটকেরও মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে সমীরও একজন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours