বামদের ব্রিগেড নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। বিজেপি সিপিএমকে একযোগে একহাত নিয়ে কুণাল ঘোষ বলছেন, “সিপিএমের ব্রিগেড বলে যেটাকে চালানো হচ্ছে ওটা হচ্ছে সিপিএমের ডাকে ব্রিগেড চলো, আর বিজেপিকে ভোট দিতে ব্রিগেড থেকে ফেরো। এই তো ওদের স্লোগান।”

আমরা ঠিক পৌঁছাব, আমাদের আটকাতে পারবে না’, ফেরিঘাট বন্ধ হতেই ক্ষোভে গর্জে উঠলেন বাম কর্মীরা
ক্ষোভে ফুঁসছেন বাম কর্মী সমর্থকরা


কেউ আসছেন পুরুলিয়া, কেউ বাঁকুড়া, কেউ আবার উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জেলা থেকে। কিন্তু, তীব্র গরম উপেক্ষা করে হাওড়ায় পৌঁছালেও দেখা গেল নতুন বিপত্তি। বন্ধ ফেরিঘাট। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বাম কর্মী সমর্থকেরা। রাস্তাতেও বসে পড়তে দেখা গেল বেশ কয়েকজন। অবরোধের জেরে হাওড়া স্টেশন চত্বরে যানজটও হয়। যা সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খায় পুলিশ। গোটা ঘটনার পিছনে রাজনীতিই দেখছেন বাম কর্মীরা।


এক বাম কর্মী তো ক্যামেরা দেখেই গর্জে উঠলেন। সাফ বললেন, “৩০ বছর ধরে ব্রিগেডে আসছি। এরকম কখনও হয়নি। এটা প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি।” আর একজন বলছেন, “প্রতিবারই আসি। কিন্তু কোনওদিনই লঞ্চ বন্ধ থাকে না। আমাদের আটকানোর জন্যই এটা হচ্ছে। যাতে রোদের মধ্যে হেঁটে যেতে বাধ্য হই তাই এমনটা করছে।”

পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন আরও এক বাম সমর্থক। বলছেন, “এরকম কোনওদিন দেখিনি। আমাদের ব্রিগেড যাতে সফল না হয় তাই রাজ্য সরকার এসব করছে। কিন্তু, আমরা ঠিক পৌঁছাব। আমাদের আটকাতে পারবে না।” পূর্বস্থলী থেকে আসছে এক মহিলা। তিনি বলছেন, “কিছু না পেলে পায়ে হেঁটে চলে যাব।”  


তবে বামদের ব্রিগেড নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। বিজেপি সিপিএমকে একযোগে একহাত নিয়ে কুণাল ঘোষ বলছেন, “সিপিএমের ব্রিগেড বলে যেটাকে চালানো হচ্ছে ওটা হচ্ছে সিপিএমের ডাকে ব্রিগেড চলো, আর বিজেপিকে ভোট দিতে ব্রিগেড থেকে ফেরো। এই তো ওদের স্লোগান।” এখানেই না থেমে সুর আরও চড়িয়ে তিনি বলেন, “বামেদের ভোট কমতে কমতে যে জায়গায় গিয়েছে সেই লাভ বিজেপি পেয়েছে। তৃণমূল তো কমেনি। সিপিএম বলে কিছু নেই। এগুলো সব ছদ্মবেশী। এরা বাড়ি গিয়ে বিজেপিকে ভোট দেয়। এটা রাম-বামের ব্রিগেড।”  
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours