হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারী পরিবারবর্গের অভিযোগ, রোগীর চিকিৎসা ঠিকঠাক হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর অনেকরকম শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষার কোনও রিপোর্ট তাদের দেখানো হয়নি।


মৃত্যুর পরও রোগীর চিকিৎসার নামে দেহ আটকে রাখার ছক? শহরের বেসরকারি হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ
মালদহে বেসরকারি হাসপাতালে উত্তেজনা


 রোগীর মৃত্যুর পরেও চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার নামে বিভিন্ন অপারেশন। দেহ নিয়ে বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে পৌঁছল পুলিশ। দেহটি পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। উত্তেজনা মালদা শহরের সিঙ্গাতলা এলাকায়।


মালদা শহরের দেশবন্ধুপাড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় প্রাক্তন রেল কর্মচারী প্রবীর চন্দ্র সুর। গত ৪ তারিখ মঙ্গলবার ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন তাঁকে মালদা রেল হাসপাতালে ভরতি করেন। পরে সেখান থেকে মালদা শহরের সিঙ্গাতলা এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরিবারের দাবি, ভর্তির পর সেখানে রোগীর একাধিকবার অস্ত্রোপচার হয়। চিকিৎসকরা প্রত্যেকবার সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও রোগীর জ্ঞান ফেরেনি। পরে বেসরকারি হাসপাতালের তরফে রোগীর পরিবারকে জানানো হয় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যা জানতে পেরেই মৃতের পরিবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারী পরিবারবর্গের অভিযোগ, রোগীর চিকিৎসা ঠিকঠাক হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর অনেকরকম শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষার কোনও রিপোর্ট তাদের দেখানো হয়নি। এখন মারা যাওয়ার পর বিল দেওয়া হচ্ছে না। বিল দেওয়া নিয়ে গড়িমসি চলছে।


এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে সিঙ্গাতলা এলাকার ওই বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। প্রথমে পুলিশ মৃতদেহটি সেখান থেকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তে। এরপর গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। যদিও এই বিষয়ে এই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। রোগীর পরিবারের এক সদস্যে গোপা চক্রবর্তীর বক্তব্য, “আমি আগেই বলেছিলাম রোগীর চোখ স্থির হয়ে গেছে। তখনই সন্দেহ হয়েছিল উনি আর বেঁচে নেই। কিন্তু তারপরও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মানেনি। বলল অস্ত্রোপচার করতে হবে। আজ আমাদের জানায় রোগী মারা গেছে। তবে আমাদের সন্দেহ উনি আগেই মারা গিয়েছেন। বিল বাড়াতে এইসব করছিল। আমরা মালদহ মেডিক্যালে মৃতদেহ সংরক্ষণ করতে বলেছি।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours