আন্তর্জাতিক ব্রোকারেজ সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাকস ভারতের বাজারের বর্তমান কারেকশনের কথা মাথায় রেখে বলেছে, ভারতের কেবল ও তারের সেক্টর এই মুহূর্তে বিনিয়োগকারিদের একটা সুযোগ দিচ্ছে।
বিনিয়োগ শুরুর জন্য এই দুই স্টক নাকি বিরাট আকর্ষনীয়, বলছে গোল্ডম্যান স্যাকস!
প্রচণ্ড দ্রুতগতিতে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন দেখেছে ভারত। সঙ্গে দ্রুত নগরায়নও দেখেছে আমাদের দেশ। আর এর মধ্যেই ভারতের কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ বাড়ছে হু হু করে। আর দেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন আর নগরায়নের কারণে অচিরাচরিত শক্তি ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়েছে বিশেষ ধরণের তারের চাহিদাও। আর দেশে সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে উচ্চ মান সম্পন্ন তাদের চাহিদা যেখানে শক্তি ক্ষয় কম হয়।
পূর্বাভাস বলছে, ভারতের এই তারের মার্কেট ২৪ থেকে ২৯ অর্থবর্ষের মধ্যে বাৎসরিক গড়ে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। আর একসঙ্গে বৃদ্ধি পাবে এই ক্ষেত্রে রফতানিও। ২০১৯ অর্থবর্ষে রফতানির হার ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৪ অর্থবর্ষে হয়েছিল ১০ শতাংশ। ২০২৯ অর্থবর্ষ পর্যন্ত রফতানি বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে বাৎসরিক ১০ থেকে ১১ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক ব্রোকারেজ সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাকস ভারতের বাজারের বর্তমান কারেকশনের কথা মাথায় রেখে বলেছে, ভারতের কেবল ও তারের সেক্টর এই মুহূর্তে বিনিয়োগকারিদের একটা সুযোগ দিচ্ছে। আর এক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সেবা প্রদানিকারী সংস্থা ম্যাকুয়ারিও প্রায় একই কথা বলছে। যদিও তাঁদের আরও অনেকটা বেশি উচ্চাশা রয়েছে এই সেক্টর নিয়ে।
আর এই দুই সংস্থার তালিকায় অবশ্যই রয়েছে ভারতের সবচেয়ে বড় তার উৎপাদনকারী সংস্থা পলিক্যাব ইন্ডিয়া লিমিটেড। এই সংস্থা ভারতের অন্যতম দ্রুত এগিয়ে চলে এফএমসিজি সংস্থা। ভারতে তাদের মোট ২৮টি কারখানা রয়েছে। রয়েছে ২৯টি ওয়্যারহাউসও। আর পৃথিবীর মোট ৭০টি দেশে তাদের উপস্থিতি রয়েছে।
এক্সট্রা হাই ভোলটেজ, হাই টেনশন ও লো টেনশন তার, বাড়িতে ব্যবহৃত তার, স্টেনলেস স্টিলের তার প্রস্তুতকারক সংস্তা কেইআই ইন্ডাস্ট্রিজ রয়েছে পলিক্যাবের ঠিক পরই। তারা দেশের বিভিন্ন সেক্টরের নানা রকমের তারের চাহিদা মেটায়। এর মধ্যে রয়েছে রিয়েল এস্টেট, বিভিন্ন কারখানা, পাওয়ার প্ল্যান্ট, স্টিল প্ল্যান্ট, রিফাইনারি, ট্রান্সপোর্ট ও এনার্জি সেক্টর। তারা দেশের মোট ৮টি কারখানায় তাদের চাহিদা অনুযায়ী তার তৈরি করে। যদিও এই সংস্থা নিয়ে খুব বেশি উৎসাহ দেখায়নি আন্তর্জাতিক ব্রোকারেজ ফার্ম গোল্ডম্যান স্যাকস।
শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই শেয়ারের বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও অ্যানালিসিস করুন। এই ভিডিয়ো শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে।
বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours