নিম্ন আদালতে চলছিল শোভন ও রত্নার বিচ্ছেদ মামলা। সেখানে রত্না আর্জি জানান, আরও কিছু লোকের সাক্ষ্য নেওয়া হোক। নিম্ন আদালত সেই আর্জি নাকচ করে দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান রত্না। সেখানেই শোভনের হয়ে সওয়াল করতে যান কল্যাণ।
শোভন-রত্নার বিয়ে ভাঙতে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়! বলেই দিলেন, 'এদের পরিবারের ইতিহাস-ভূগোল সবটা জানি'
হাইকোর্টে শোভন-রত্নার ডিভোর্স মামলা
শোভন-রত্নার দাম্পত্যে চিড় ধরে কয়েক বছর আগেই। বর্তমানে আলাদাই থাকেন তাঁরা। কিন্তু ডিভোর্সের মামলা শেষ হয়নি এখনও। নিম্ন আদালত থেকে মামলা পৌঁছছে হাইকোর্টে। সেই মামলায় শোভন-পত্নী রত্না বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালত কক্ষেই অভিযোগ তুললেন বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ-মামলায় শোভনের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে চলছিল সেই বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার শুনানি। রত্না কেন আদালতে আসেন না? কেন বারবার দিন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে কার্যত চাঁচাছোলা ভাষায় রত্নাকে আক্রমণ করেন কল্যাণ। এমনকী তৃণমূল বিধায়ক রত্নার বাবা তথা তৃণমূল নেতা দুলাল দাসকেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি।
নিম্ন আদালতে চলছিল শোভন ও রত্নার বিচ্ছেদ মামলা। সেখানে রত্না আর্জি জানান, আরও কিছু লোকের সাক্ষ্য নেওয়া হোক। নিম্ন আদালত সেই আর্জি নাকচ করে দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান রত্না। সেখানেই শোভনের হয়ে সওয়াল করতে যান কল্যাণ।
শোভন চট্টোপাধ্যায় আগেই অভিযোগ করেছিলেন রত্না অকারণে মামলা দীর্ঘায়িত করছে। এদিন আদালতে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, “রত্না শুধু ড্রামা করে। আদালতে আসতে বললে আসে না।” শুধু তাই নয় রত্না সম্পর্কে বর্ষীয়ান আইনজীবী আরও বলেন, “একজন বিধায়ক কী ভাষা বলেছেন, সেটা আদালতে বলতে পারব না। স্বামী ব্যর্থ হলে, আদালতে আসুন। মামলা টেনে নিয়ে যাচ্ছেন কেন। স্ত্রী হলেই কি অধিকার বেশি থাকতে হবে? যদি খুব বড় সাক্ষী হয়, তাহলে কেন সে সাক্ষ্য দিতে আসে না?”
কল্যাণ বলেন, শুধু দিন পিছিয়ে যাচ্ছেন রত্না। এরপরই রত্নার বাবা সম্পর্কে মন্তব্য করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “শুধু রত্না কেন, আমি এদের পরিবারের ইতিহাস-ভূগোল জানি। উনি মহেশতলার তৃণমূল চেয়ারম্যান। বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করতে পারেন। আর আদালতে আসতে বললেই বলেন, ‘আমার ৭০ বছর বয়স। কীভাবে যাব?’ এখানেই শেষ নয়, আইনজীবী বলেন, “আরে আমি ৬৯ আর ওর বাবা দুলাল দাস ৭০। তবে আমার থেকেও বেশি কালারফুল।”
আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এদিকে, কল্যাণ আদালতে রত্নার বিরুদ্ধে যেভাবে সওয়াল করেছেন, তাতে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours