বুধবার থেকেই নন্দীগ্রামে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছিল। তা রীতিমতো দাবানলের চেহারা নেয় রথিবালা নামে এক মহিলা বিজেপি কর্মীর খুনের অভিযোগ ঘিরে। আক্রান্ত হন তাঁর ছেলেও। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 রাত থেকে নতুন করে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম, এবার 'আক্রান্ত' তৃণমূল
নন্দীগ্রামে 'আক্রান্ত' তৃণমূল

নন্দীগ্রাম: আবারও উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। এবার তৃণমূলের ওপর হামলার অভিযোগ। ভেটুরিয়ায় তৃণমূল কর্মীদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাঠগড়ায় বিজেপি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। এক বিজেপি মহিলা কর্মীর খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। দিনভর জ্বলে বিক্ষোভের আগুন। রাত ১১ টা নাগাদ নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের ভেটুরিয়া গ্রামে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। রাস্তার পাশে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। লাঠি, বাঁশ. লোহার রড, হাঁসুয়া নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, “পুলিশ রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু গ্রামের গলিতে চলছে হামলা। প্রশাসনকে এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। ” আহত তৃণমূল কর্মীদের রেয়া পাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক তৃণমূল কর্মীর মাথায় সেলাই পড়ে। অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির।


বুধবার থেকেই নন্দীগ্রামে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছিল। তা রীতিমতো দাবানলের চেহারা নেয় রথিবালা নামে এক মহিলা বিজেপি কর্মীর খুনের অভিযোগ ঘিরে। আক্রান্ত হন তাঁর ছেলেও। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরপর ভোটের আগে তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকা। রাস্তার ওপর গাছ ফেলে, আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিক্ষোভ তুলতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়।


এরপর ঘটনাস্থলে যান তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ছিলেন পার্থ ভৌমিক, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা। কিন্তু গ্রামের ঢোকার আগেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। শুনতে হয় গো ব্যাক স্লোগান। বিকালের দিকে থানায় ঢুকে রীতিমতো আইসি-কে ধমকি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এরপর শুক্রবার রাতেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours