‘আমি মমতা দিদির কাছে আজ কৃতজ্ঞ’, নিশীথের সমর্থনে বাংলায় এসে বললেন মোদী

কোচবিহারের বিদায়ী সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে প্রচারে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। সভায় তাঁর পাশে উপস্থিত বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারও।

আমি মমতা দিদির কাছে আজ কৃতজ্ঞ', নিশীথের সমর্থনে বাংলায় এসে বললেন মোদী
কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী


কোচবিহার: কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর এই প্রথম বাংলায় মোদী। কোচবিহারের বিদায়ী সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে প্রচারে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। সভায় তাঁর পাশে উপস্থিত বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারও। কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান থেকে প্রধানমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কেন? দেখুন কী বললেন মোদী…




যখন রাস্তা দিয়ে আসছিলাম, দেখে মনে হচ্ছিল, যেন কোনও রোড শো হচ্ছে। আপনাদের এই ভালোবাসা আমার মাথায় রয়েছে। আমি সবার প্রথমে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাইছি। ২০১৯ সালে যখন আমি এই ময়দানেই এসেছিলাম, তখন এখানে মাঝখানে একটা বড় মঞ্চ বানিয়ে ময়দানের জায়গা ছোট করে দিয়েছিলেন। যাতে মোদীর কথা কেউ শুনতে না পারে। সেদিন আমি মমতাদিদিকে বলেছিলাম, দিদি আপনি এটা করে ভুল করলেন, মানুষ জবাব দেবে, সেটাই হয়েছে। কিন্তু আজ মমতাদিদি সেরকম কিছুই করেননি। ময়দান ছেড়ে দিয়েছেন। আপনাদের সকলের মুখ আজ আমি দেখতে পারছি। বাংলার জনগণের মুখ দেখার জন্য কোনও বাধা না দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।
এখন বিকশিত ভারত তৈরির সময়। ভারত বিকশিত হলে বাংলারও লাভ। বাংলার ভাইবোনেদের সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে। এটা দেশের নির্বাচন। দিল্লিতে মজবুত সরকার জরুরি। মোদী মজবুত সরকার দেয় কিনা? সেটাই আপনারাই বলুন। দেশের সরকার বানাতে হবে। কাজ করার মতো সরকার বানাতে হবে।

স্বাধীনতার পর ৬-৭ দশক পর্যন্ত কেন্দ্রে কেবল কংগ্রেসের মডেল দেখেছে, এবার গত দশ বছরে পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন বিজেপি সরকার মডেল দেখেছে। আজ দুনিয়া বলে মোদী মজবুত নেতা। আজ মানুষ বলে মোদী বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো নেতা। আমি হাত জোড় করে বলছি, মোদী ভারতে জনতার সামান্য সেবক। মোদী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কারণ তাঁর ওপর ১৪০ কোটি ভারতীয়র স্বপ্ন পূরণ করার দায়িত্ব আছে। মোদীর গ্যারান্টি আপনার স্বপ্নই মোদীর সংকল্প।
গরিবদের লুঠেরাদের বড় পদক্ষেপ করেছে মোদী। দেশ যাতে ভ্রষ্টাচারমুক্ত হয়। দেশ যাতে আতঙ্কবাদ মুক্ত হয়, তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ গ্রামে গ্রাম ডিজিট্যাল হচ্ছে। ঘরে ঘরে ফোন পৌঁছে গিয়েছে। এত আধুনিক নেটওয়ার্ক দুনিয়ার অনেক বিকশিত দেশেও নেই।
SC ST ও গ্রামের মহিলাদের জীবনে সুযোগ এনেছে। গরিবি হঠাও সংকল্প নিয়েছে। দেশকে গরিবিয়ানা থেকে বার করে মোদী দেখিয়ে দিয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে, কারণ আমাদের ভাগ্য, সততা সঙ্গে রয়েছে।
তাই আমি বলি, উদ্দেশ্য সঠিক, তাহলে পরিণামও সঠিক। মোদী আপনাদের ভবিষ্যতের চিন্তা করছে। মোদীর লক্ষ্য সঠিক, তাই এত বছর বছর জম্মু কাশ্মীরে আর্টিক্যাল ৩৭০ থেকে মুক্তি মিলেছে, নারীরা তিন তালাক প্রথা থেকে মুক্তি পেয়েছেন, ৫০০ সাল পরে অযোধ্যাতে রামমন্দির তৈরি হয়েছে। তাই দেশ বলে, যেখানে অন্যের থেকে চাহিদা শেষ হয়ে যায়, সেখান থেকেই মোদীর গ্যারান্টি শুরু হয়।
বাংলার কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন, পাকা ঘর পেয়েছেন, বাংলার কোটি মানুষ শৌচাগার, বিদ্যুৎ, গ্যাস, জল সব মিলেছে, কারণ মোদীর গ্যারান্টি ছিল।
চাষিদের জন্য পিএম কৃষণা সম্মান নিধিতে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা সোজাসুজি দিই। ১০ সালে যে বিকাশ হয়েছে, তার লিস্ট অনেক লম্বা। বাংলার সব এলাকায় হয়েছে। তবে এটা মনে রাখবেন ১০ বছরে যে বিকাশ হয়েছে, এটা তো ট্রেলর। এখন তো আমাকে অনেক অনেক কাজ করতে হবে। দেশকে আরও অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাকে অনেক আগে নিয়ে যেতে হবে।
আমার বিরোধীরা বলছে, মোদীর কোনও পরিবার নেই। মোদীর তো ভারতই পরিবার।
আপনারা দেখলেন তৃণমূল সরকার কীভাবে সন্দেশখালির অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য পুরো শক্তি লাগিয়ে দিলেন! সেখানে মহিলাদের ওপর কী ধরনের অত্যাচার হয়েছে। এখন বিজেপি সংকল্প নিয়েছে, সন্দেশখালির দোষীদের শাস্তি দিয়েই ছাড়বে। জীবন জেলেই কাটাতে হবে।
মোদী গ্যারান্টি দিয়েছে, ৩ কোটি ‘বোন’কে ‘লাখপতি দিদি’ বানানোর। নমো ড্রোন দিদি যোজনার মাধ্যমে মেয়েদের ড্রোন দিচ্ছি। ড্রোন পাইলট বানাচ্ছি। যাতে চাষের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়। বাংলার মেয়েদের আত্মনির্ভর বানাতে হবে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে বহু সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার বিকাশের জন্য নিরন্তর কাজ করেছে চলেছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করা, যাতায়াত সুবিধা যাতে হয়, তার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তৃণমূল, বাম, কংগ্রেসের জোট কেবল রাজনীতি করতেই ব্যস্ত। ওরা মতুয়াদের কখনও পরোয়া করেনি। বিজেপি সরকার CAA এনেছে, তাহলে ওরা ভুল রটাচ্ছে। সব পরিবারকে নাগরিকতা দেওয়া মোদীর গ্যারান্টি।
বাংলার সব পরিবারকে বলছি, এই তৃণমূল-বাম-কংগ্রেসরা ভয় দেখাবে। লোকতান্ত্রিক পদ্ধতি নিয়ে ভুল কথা বলবে। কিন্তু দশ বছর ধরে আপনারা আমার কাজ দেখেছেন, এখন আমার গ্যারান্টির ওপর ভরসা রাখতে পারেন।
এখানে তো তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস সবাই লড়াই করছে। কিন্তু দিল্লিতে তো ওরা এক থালাতেই খায়। এক সঙ্গে থাকে। রেশন দুর্নীতিতে, শিক্ষা দুর্নীতি যারা জড়িত, তাদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। তৃণমূলের মন্ত্রীদের থেকে নোটের পাহাড় উদ্ধার হয়েছে।
আপনারাই বলুন যারা আপনাকে লুটেছেন, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত কিনা? দিনরাত মোদীকে গালি দেয়। তোলাবাজি, খুন খারাপির রাজনীতি এভাবে চলছে।
আগামী ৫ বছরের মধ্যে দুর্নীতিতেযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ হবে। এটা তৃণমূলকে যোগ্য জবাব দেওয়ার সময়।
বাংলার জনতার জন্য যে যোজনা আনি, বাংলার সরকার এখানে সেটা হতেই দেয় না। আয়ুস্মান ভারত প্রকল্পকে আটকেছে। তৃণমূল সরকার করতেই দিচ্ছে না। যদি এখানে এই প্রকল্প হত, তাহলে অন্য রাজ্যেও পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা হত।
সব জেলাতে একটা করে মেডিক্যাল কলেজ করতে চায় বিজেপি। তৃণমূল সেটা করতে দিচ্ছে না।
বাংলাকে রেকর্ড পয়সা দেওয়ার পরও দুর্নীতির জন্য প্রজেক্ট সময়ে শেষ হয় না। বাং
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours