সুজাতার কথা শুনে সৌমিত্রর বক্তব্য, "আমাকে তো আগেই বধ করে দিয়েছেন। দয়া করে আর বিষ্ণুপুরের মানুষকে বধ করবেন না। আগে আমি একা জ্বলতাম। এখন গোটা বিষ্ণুপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা জ্বলছে। তাই বিষ্ণুপুরের মানুষ আর আপনাকে বধ করার সুযোগটা দেবেন না।"
ত্রিশূল হাতে সুজাতা, সৌমিত্রর সে কী হাসি; বললেন, 'আমাকে তো আগেই...'
সুজাতা মণ্ডল ও সৌমিত্র খাঁ।
বাঁকুড়া: ভোট যত এগিয়ে আসছে, জমে উঠছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের লড়াই। আসরে বনাম সুজাতা মণ্ডল বনাম তাঁর প্রাক্তন স্বামী সৌমিত্র খাঁ। বৃহস্পতিবার মন্দিরে পুজো দিয়ে ত্রিশূল হাতে বিষ্ণুপুরের ‘অসুর’ বধের কথা শোনালেন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা। তবে এই অসুর কি মানুষরূপী নাকি অন্য কোনও রূপে বিরাজ করেন বিষ্ণুপুরে, তা স্পষ্ট করেননি সুজাতা। এদিন মন্দিরে পুজো দিয়ে একেবারে মহিষমর্দিনী মুদ্রায় দেখা গেল সুজাতাকে। বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের খোঁচা, “আমাকে আগেই বধ করে দিয়েছেন, দয়া করে আর বিষ্ণুপুরের মানুষকে বধ করবেন না।”
এদিন একেবারে অনুব্রত মণ্ডলের কায়দায় ঢাক বাজিয়ে শতাব্দী প্রাচীন এক্তেশ্বর মন্দিরে এসে হাজির হন সুজাতা মণ্ডল। এরপর মন্দিরে ঢুকে পুজো দেন। এলাকার লোকজনের হাতে তুলে দেন নকুলদানা। এরপরই ত্রিশূল হাতে নিয়ে বিষ্ণুপুরের অসুর বধের শপথ শোনা যায় সুজাতার মুখে।
সুজাতা মণ্ডল বলেন, “আমরা ঢাক বাজাতে বাজাতে পুজো দিতে ঢুকেছিলাম। ঢাক সহকারে বেরিয়ে এলাম। যখন সমাজে বারবার অসুররা মাথা চাড়া দিয়েছে নারীরা মা দুর্গার রূপ ধরেছে। আমি সাধারণ নারী। কিন্তু সাধারণ নারীর মধ্যে মা দুর্গা লুকিয়ে থাকে। আমি বিষ্ণুপুর লোকসভায় বিজেপি নামক, বিরোধী নামক অসুর বধ করে এই বিষ্ণুপুরকে বাঁচাতে।”
সুজাতার কথা শুনে সৌমিত্রর বক্তব্য, “আমাকে তো আগেই বধ করে দিয়েছেন। দয়া করে আর বিষ্ণুপুরের মানুষকে বধ করবেন না। আগে আমি একা জ্বলতাম। এখন গোটা বিষ্ণুপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা জ্বলছে। তাই বিষ্ণুপুরের মানুষ আর আপনাকে বধ করার সুযোগটা দেবেন না।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours