খোঁচা দিতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। এ নিয়ে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আড়াই বছর না হলে প্রধান বা পঞ্চায়েত সমিতির কোন সদস্যকেই সরানো যায় না৷ এটা হয়তো বিপ্লবদা জানেন না। আমি হলেও সরাতে পারব না।”
 

ভোটে জেতাতে না পারলে পরদিনই সরিয়ে দেওয়া হবে’, বিপ্লবের মন্তব্য়ে বিতর্কের ঝড়
বিপ্লব মিত্র


দক্ষিণ দিনাজপুর: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের মধ্যে দিনে দিনে গোষ্ঠী কোন্দল যেন বেড়েই চলছে। আসছে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ। এবারে নির্বাচনের মুখেও শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে লাগাতার আসছে গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি। যা এখন জেলার ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের অন্যতম প্রধান মাথা ব্যথার কারণ। কিন্তু, কোন্দলে যাতে ভোটে কোনও প্রভাব না পড়ে সে বিষয়ে দলীয় কর্মী সমর্থকদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। প্রত্যেক জায়গা থেকে যাতে লিড আসে তার জন্য এখন থেকে সজাগ থাকার কথা বললেন তিনি। প্রসঙ্গত, এই বালুরঘাটেই বিপ্লবের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। বর্তমানে তিনিই বালুরঘাটের সাংসদ। 

দলীয় কর্মী সভা থেকে বিপ্লব মিত্র যা বলেছেন তা নিয়ে আবার উঠেছে বিতর্কের ঝড়। বিপ্লব বলেন, “এবারের নির্বাচনে যদি লিড না আসে তাহলে সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, মেম্বার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, এমনকি বিধায়ককে পরদিনই পদত্যাগ করতে হবে। অথবা সরকারি ক্ষমতা প্রয়োগ করিয়ে সরিয়ে দেওয়া হবে।” গঙ্গারামপুরে দলীয় সভা থেকে বিপ্লব মিত্রের এমন মন্তব্যের জেরে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে দলের অন্দরেও।

যদিও বিপ্লবের দাবি, যে অঞ্চল, পঞ্চায়েত সমিতি বা বিধানসভা এলাকা তৃণমূলের দখলে আছে, সেখানে তৃণমূল লিড না পেলে পরে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি প্রয়োজনে তাঁদেরকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলেই সম্প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours