আজ ২৫ শে মার্চ। আজ আরও একটা বিশেষ দিন। আজ শুভ দোল। দোলযাত্রায় সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দা ছেয়ে গেছে নানাবিধ পোস্টে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দর্শকের অমোঘ আকর্ষণের জায়গায় রয়ে গেছেন উত্তমকুমার, সুচিত্রা সেনরা। তাঁরা কীভাবে দোল খেলতেন, জানল 

উত্তমকুমারের দোল কি ছিল সুচিত্রাময়? নাকি মহানায়িকা বলতেন, 'আমায় টাচ করবে না!'
উত্তম-সুচিত্রার দোল।

এখন তো সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে কেবলই দেখা যায় নেটিজ়েনদের নানা ধরনের পোস্ট। তারকা থেকে আমজনতা প্রত্যেকে দৈনন্দিন জীবনের নানা খুঁটিনাটি তুলে ধরেন সামাজিক মাধ্যমের পাতায়। কিন্তু যেই যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না, সেই সময় কী চলত? সেই স্বর্ণালী সময়ের কিছু কথা রইল এই প্রতিবেদনে।


আজ ২৫ শে মার্চ। আজ আরও একটা বিশেষ দিন। আজ শুভ দোল। দোলযাত্রায় সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দা ছেয়ে গেছে নানাবিধ পোস্টে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দর্শকের অমোঘ আকর্ষণের জায়গায় রয়ে গেছেন উত্তমকুমার, সুচিত্রা সেনরা। তাঁরা কীভাবে দোল খেলতেন, জানতে চান? এ বিষয়ে  কথা বলে উত্তমকুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

উত্তমকুমারের নাতি গৌরব বলেছেন, “আমার ঠাকুরদা উত্তমকুমার দোল খেলতে খুবই ভালবাসতেন। আমাদের বাড়িতে দোল খেলার আয়োজন করা হত। উত্তমকুমারের অনারেই করা হত সেই দোল খেলার। ইন্ডাস্ট্রি থেকে বহু মানুষ আসতেন। উত্তম কুমারও উপস্থিত থাকতেন সকাল থেকে এবং আমি শুনেছি তিনি খুব রং খেলতে ভালবাসতেন।”




অন্যদিকে এক্কেবারে ভিন্ন চিত্র তুলে ধরলেন সুচিত্রা দেবীর বোনঝি লগ্না ধর। তিনি জানিয়েছেন, মহানায়িকা নাকি একেবারেই দোল খেলার পক্ষপাতী ছিলেন না। বলেছেন, “আমার মাসি সুচিত্রা সেন দোল খেলতে এক্কেবারে ভালবাসতেন না। আমি ছোট ছিলাম যখন, তাঁকে কোনওদিন দেখিনি দোল খেলতে। তিনি অভিনয়ের জন্য মেকআপ করতেন ঠিকই। কিন্তু ওই পর্যন্তই। দোলের সময় রং মেখে ভূত সাজতেন না তিনি। ছোট ছিলাম যখন, আমার মনে আছে সন্ধ্যা হলেই মাসির বাড়িতে যেতাম দোলে। সুচিত্রা মাসি আমাদের নানা কিছু খাওয়াতেন। এবং আমাদের গালে আবির ছোঁয়াতেন, ব্যস ওইটুকুই।”

একদিকে উত্তম কুমারের দোল খেলা ছিল ইন্ডাস্ট্রিতে চর্চিত। অন্যদিকে সুচিত্রা সেন দোল থেকে ছিলেন বিরত। বিপরীত মেরুর মানুষ বলতেই হয়! সেই জন্যই হয়তো তাঁদের রসায়ন রুপোলি পর্দায় আজও এক নম্বরে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours