জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন ব্লক সভাপতিদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ব্লকে কোর কমিটিও গঠন করা হয়েছে। লোকসভার কথা মাথায় রেখেই এই রদবদল বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে সিউড়ি ১ ব্লকের নয়া সভাপতি হলেন লালা প্রশান্ত প্রসাদ, নলহাটি ২ ব্লকের ব্লক সভাপতি হলেন রেজাউল হক। বিভাস অধিকারী পদত্যাগ করার পর এই পদ এতদিন খালি ছিল।

অনব্রতহীন বীরভূমে বড় পরিবর্তন তৃণমূলে, রদবদল বিভিন্ন পদের
তৃণমূল কংগ্রেস।

সিউড়ি: সামনেই লোকসভা ভোট। কোনও রকম খামতি রাখতে চায় না এ রাজ্যের শাসক দল। একাধিক জেলার ব্লক সংগঠন ঘোষণা করা হল তৃণমূলের তরফে। জেলায়-জেলায় বিভিন্ন পদে কিছু রদবদল করা হয়েছে। এর মধ্য়ে বীরভূমের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এখন এখানকার ‘বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডল জেলে বন্দি। ফলত, কেষ্টহীন বীরভূম ধরে রাখা তৃণমূলের কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।

জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন ব্লক সভাপতিদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ব্লকে কোর কমিটিও গঠন করা হয়েছে। লোকসভার কথা মাথায় রেখেই এই রদবদল বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে সিউড়ি ১ ব্লকের নয়া সভাপতি হলেন লালা প্রশান্ত প্রসাদ, নলহাটি ২ ব্লকের ব্লক সভাপতি হলেন রেজাউল হক। বিভাস অধিকারী পদত্যাগ করার পর এই পদ এতদিন খালি ছিল।

এছাড়াও ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের নয়া সভাপতি হলেন প্রমোদ রায়। এছাড়াও খয়রাশোল ব্লকে ৫ জনের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে ব্লক সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলানো কাঞ্চন অধিকারী সহ কাঞ্চন দে,কাদের ঘোষ, শ্যামল গায়েন ও উজ্জ্বল কাদেরি থাকছেন। পাশাপাশি দুবরাজপুরের জন্য জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অরুণ কুমার চক্রবর্তী ও রাফেয়ুল খান যুগ্ম কনভেনার হচ্ছেন। মহম্মদবাজার ব্লকের জন্য কালীপ্রদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস সিনহা আলাদা আলাদা বিধানসভা অনুযায়ী বিভাজন করে সভাপতি করা হয়েছে। অন্যদিকে,রামপুরহাট ১ ব্লকেও ব্লক সভাপতি বদল করা হল। সেখানে সভাপতি হলেন নিহার মুখোপাধ্যায়। আর সহ সভাপতি হলেন সৈয়দ মৈনুদ্দিন হুসেন। বাদবাকি রায় অপরিবর্তিতই রয়েছে।


তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে,সিউড়ি ২ ব্লকের সভাপতি নুরুল ইসালমকে ফের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল। তিনি এবার প্রথমবার ভোটে জিতে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে দলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন,”নতুনদের নতুন দায়িত্বে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করি লোকসভাতে দায়িত্ব নিয়ে লড়াই করবেন।”

প্রসঙ্গত, এক বছরের বেশি সময় ধরে তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেলে। গরুপাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। আর তিনি জেলে যেতেই আপাতত বীরভূমের বিভিন্ন স্থানে তাঁর ‘বিরোধী গোষ্ঠী'(রাজনৈতিক মহলের মত) হিসাবে পরিচিত কাজল শেখ ও তাঁর অনুগামীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছেন। শুধু কী তাই? অনুব্রত গ্রেফতার হতেই বিরোধীরাও ময়দানে নেমেছে। মিটিং-মিছিল-র‌্যালি সবই হয়েছে। তবে জেলায় বর্তমানে অনুপস্থিত কেষ্ট। তাই সংগঠন ধরে রাখা এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ ঘাসফুল শিবিরের কাছে। ফলত, আসন্ন নির্বাচনের আগে তাই রদবদল করে দল হয়ত নিজেদের ভীত আরও মজবুত করতে চাইছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours