কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুড়ঙ্গে সতেরো দিন ধরে আটকে থাকার পরও ৪১ জন শ্রমিকেরই শারীরিক অবস্থা সম্পূর্ণ স্থিতিশীল। তবে ঝুঁকি না নিয়ে তাঁদের ঋষিকেশ এইমস-এ নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে, হাসপাতাল ছাড়লেই বাংলার শ্রমিকদের বিমানে উড়িয়ে আনবে রাজ্য সরকার।

চিনুকে এ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শ্রমিকদের, উপস্থিত বাংলার আধিকারিকরা
অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে হেঁটেই বায়ুসেনার চিনুক কপ্টারে ওঠেন উদ্ধার হওয়া ৪১ শ্রমিক

দেরাদুন: উদ্ধারের পর বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় কেটে গিয়েছে। উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা এলাকার জঙ্গল ঘেরা সুড়ঙ্গের অন্ধকূপ থেকে ৪১ শ্রমিককে বের করার পর, তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসা হয়েছিল চিন্নালীসর স্থানীয় হাসপাতালে। উন্নত মানের চিকিৎসার জন্য বুধবার দুপুরে সেনার চিনুক কপ্টারে করে তাঁদের ঋষিকেশ এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে, পরে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুড়ঙ্গে সতেরো দিন ধরে আটকে থাকার পরও ৪১ জন শ্রমিকেরই শারীরিক অবস্থা সম্পূর্ণ স্থিতিশীল।


প্রথমে চিকিৎসকরা জানিয়েছলেন, ঋষিকেশ এইমস-এ নিয়ে যেতে হবে না। চিন্নালীসর হাসপাতালেই ‘অবজারভেশনে’ রাখা হবে তাঁদের। তবে, স্থানীয় হাসপাতালের নিকটবর্তী এয়ারপোর্টে বায়ুসেনার একটি চিনুক কপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত, ঝুঁকি না নিয়ে ৪১ শ্রমিককে ঋষিকেশেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।


এদিকে, বাংলার শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে আনতে চিন্নালীসরের হাসপাতালে এসেছিলেন রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা। সুড়ঙ্গে আটকে ছিলেন যে ৪১ জন শ্রমিক, তাঁদের মধ্যে বাংলারও ৩ জন আছেন। হগলির সৌভিক পাখিরা ও জয়দেব পরামানিক এবং কোচবিহারের মাণিক তালুকদার। তিনজনকেই ঘরে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠতেই নয়া দিল্লি থেকে উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। উত্তরকাশী পৌঁছেই রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের একটি প্রতিনিধি গিয়েছিলেন সুড়ঙ্গ এলাকায়।

৩ শ্রমিকেরই পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন সরকারি আধিকারিকরা। চিন্নালীসরের পাশাপাশি ঋষিকেশ এইমস-এও উপস্থিত আছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিরা। সৌভিক-মাণিকদের ভ্রমণের জন্য সুস্থ বলে ঘোষণা করে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হলেই, এই বাঙালি শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর উদ্যোগ নেবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই আধিকারিকরা। বিমানে করে উড়িয়ে নিয়ে আসা হবে তাঁদের। এর জন্য বাগডোগরা এবং কলকাতার বিমানের পৃথক টিকিট কাটবে রাজ্য সরকার। সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর, শ্রমিকরা যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছতে পারেন, তার জন্য যাবতীয় সহযোগিতা করার কথা ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours