কীভাবে কেটেছিল সুড়ঙ্গের ভিতরের দিনগুলি? তার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, "আটকে পরার পর প্রথম ১০-১৫ ঘণ্টায় আমাদের সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু এরপরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে পাইপ ঢোকানো হয়। 

ওই পাইপ দিয়ে আমাদের ভাত, ডাল ও শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছিল। পরে একটি মাইকও বসানো হয়। ওই পাইপ দিয়েই আমি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলি।"

'যখন মাটি ঝরে পড়তে শুরু করল, তখনই বুঝলাম...', কীভাবে নেমেছিল বিপর্যয়? জানালেন উদ্ধার হওয়া শ্রমিক
উদ্ধার হওয়া শ্রমিক।

উত্তরকাশী: বদ্ধ ২০০ মিটার জায়গা, সেখানেই কেটেছে ১৭টি দিন। খাওয়া, ঘুম আর হাঁটাহাঁটি করা ছাড়া সুড়ঙ্গের ভিতরে কিছুই করার ছিল না ৪১ শ্রমিকের। গত ১২ নভেম্বর, দীপাবলির দিন উত্তরকাশীর নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে আটকে পড়েছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। ১৭ দিন পর, ২৮ নভেম্বর তারা মুক্তি পেলেন। এই দিনটিই তাঁদের কাছে দীপাবলি। এখন অপেক্ষা শুধু বাড়ি ফেরার। পরিবার, পরিজনদের সঙ্গে দেখা করা ও কথা বলার। তবে মনে গেঁথে গিয়েছে ১২ নভেম্বরের সেই বিভীষিকার স্মৃতি। কাজ করার সময় কীভাবে ভেঙে পড়েছিল সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গের একাংশ, উদ্ধার হওয়ার পর তাই-ই বর্ণনা করলেন বিশ্বজিৎ কুমার ভর্মা নামক এক শ্রমিক।

সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্বজিৎ কুমার বলেন, “আমরা কাজ করছিলাম। হঠাৎই পিছন থেকে ধসে পড়তে থাকে সুড়ঙ্গের ছাদ। যখন পাথর-মাটি ভেঙে পড়ছিল, আমরা তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে ভিতর আটকে পড়েছি আমরা।”



কীভাবে কেটেছিল সুড়ঙ্গের ভিতরের দিনগুলি? তার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, “আটকে পরার পর প্রথম ১০-১৫ ঘণ্টায় আমাদের সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু এরপরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে পাইপ ঢোকানো হয়। ওই পাইপ দিয়ে আমাদের ভাত, ডাল ও শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছিল। পরে একটি মাইকও বসানো হয়। ওই পাইপ দিয়েই আমি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলি।”

উদ্ধার হওয়ার পর বিশ্বজিৎ কুমার বলেন, “আমি খুব খুশি। এবার আমি দীপাবলি উদযাপন করব।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours