এর আগে আচার্যের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বাংলার একটি প্রবাদ উল্লেখ করে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছিলেন, "রাজ্যপাল বাংলা প্রবাদকেই মান্যতা দিলেন। যাহা চালভাজা, তাহাই মুড়ি। যিনি আচার্য, তিনিই উপাচার্য।"


কলকাতা: ‘শিক্ষাক্ষেত্রকে মাফিয়া মুক্ত করতে হবে,বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দুর্নীতির আখড়া চলতে পারে না’ দিল্লি থেকে বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরে ঠিক এই ভাষাতেই রাজ্যকে বিঁধলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। এখানেই শেষ নয়, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। তবে এ দিন ইংরেজিতে নয়, আচার্য বোসকে দেখা গেল বাংলা বলতে।


এর আগে আচার্যের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বাংলার একটি প্রবাদ উল্লেখ করে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছিলেন, “রাজ্যপাল বাংলা প্রবাদকেই মান্যতা দিলেন। যাহা চালভাজা, তাহাই মুড়ি। যিনি আচার্য, তিনিই উপাচার্য।” আজ রাজ্যপাল পাল্টা পুরো বাংলা ভাষাতেই ৫ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের একটি বার্তা পাঠান রাজভবন থেকে। সেই বার্তায় একদম স্পষ্টভাবে তিনি ব্যাখা করে দিয়েছেন কেন রাজ্যসরকারের পছন্দ মতো উপাচার্য নিয়োগ করেননি।

সি ভি আনন্দ বোস বলেছেন, “হিংসামুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত হওয়া প্রয়োজন। বাংলার শিক্ষামন্ত্রী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে এটা বেআইনি-বেআইনি-বেআইনি। সব উপাচার্যকে ইস্তাফা দিতে হয়েছে।” বোস বলেন, “আমি চ্যান্সেলার হিসাবে নিয়োগ করেছি উপাচার্যদের। সরকার বলেছে সেগুলি বেআইনি নিয়োগ। হাইকোর্ট বলেছে আমি ঠিক। আমি এই অবস্থায় অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছি।” এরপরই স্পষ্টভাবে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আপনারা জানতে চাইবেন আমি কেন সরকারের পরামর্শমতো উপাচার্য নিয়োগ করিনি। এদের মধ্যে কেউ ছিল দুর্নীতি পরায়ণ কেউ ছাত্রীদের নিগ্রহ করেছে। কেউ রাজনীতির খেলা করেছে।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours