রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, শুভেন্দু অধিকারী মূলত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই টার্গেট করতে চান। যেহেতু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।


নির্বাচন কমিশনের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় দলের মর্যাদা প্রত্যাহারের দাবি জানলেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার দাবি, জাতীয় দলের শর্ত পূরণে ব্যর্থ তৃণমূল। ৩ রাজ্যের ভোটের ফলের পরই নয়া তরজা। ত্রিপুরায় খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল। মেঘালয়ে ৫ আসনে জয়ী হয়েছে। ওই দুই রাজ্যের ফল তুলে ধরে টুইট করেন শুভেন্দু। উল্লেখ্য, জাতীয় কমিশনের মর্যাদা পেতে গেলে, নির্বাচন কমিশনের যে নিয়ম, চার রাজ্যে ন্যূনতম ৬ শতাংশ করে ভোট থাকা প্রয়োজন। তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গে ৪৭.৯ শতাংশ ভোট রয়েছে। সম্প্রতি মেঘালয়ে ৫টি আসন জিতে ১৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে, গোয়ায় তারা কোনও আসন পায়নি। ৫.২১ শতাংশ ভোট তাদের রয়েছে, ত্রিপুরায় ০.৮ শতাংশ ভোট তারা পেয়েছে। বৃহস্পতিবার তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল অন্তত তাই বলছে। জাতীয় দলের তকমা পেতে যে গেলে মাপকাঠি থাকা প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে তৃণমূল কিছু জায়গায় পিছিয়ে রয়েছে। আর এই ইস্যুটিকেই জোরাল ভাবে তুলতে চাইছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, জাতীয় দলের শর্ত পূরণে ব্যর্থ তৃণমূল।



মুকুল রায় তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশ ত্রিপুরায় পার্টি সংগঠন বিস্তার করে । বিধায়কও হন । এক সময় পঞ্জাবেও ভোটে করেছিল তৃণমূল । পরবর্তী সময়ে অভিষেক ২০২১ সালে দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর নয়া পর্যায়ে বাইরের রাজ্যে ভোটে লড়াই এবং সংগঠন বিস্তারের কাজ শুরু হয় । সাম্প্রতিক তৃণমূলের যা প্রাপ্ত ভোট তা নির্বাচন কমিশনের ধার্য মাপকাঠি থেকে কম । আর এই বিষয় টি কে নিয়েই এবার রাজনীতির আসরে নেমেছেন শুভেন্দু অধিকারী ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের কথায়, শুভেন্দু অধিকারী মূলত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই টার্গেট করতে চান। যেহেতু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাই তৃণমূল কংগ্রেস যদি সর্ব ভারতীয় তকমা হারায়, তাহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদের কোনও মান্যতাই থাকে না। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সিপিআই কিংবা এনসিপি-র মতো দলের নাম এখনও জাতীয় দলের তালিকায় রয়েছে। চার রাজ্যে ৬ শতাংশ ভোট পাওয়ার যে মাপকাঠি, তা সিপিআই কিংবা এনসিপি-র ক্ষেত্রেও পূরণ হয়নি। তারপরও তারা জাতীয় দলের তালিকাভুক্ত রয়েছে।

শুভেন্দুর টুইট প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরেই তো তাঁর রাজনীতিতে উত্থান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্শীবাদে তাঁর রাজনীতিতে পরিচিতি। পরবর্তীকালে টাকা নিয়ে জেল খাটার ভয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। লোডশেডিংয়ে জিতে বিরোধী দলনেতা হয়ে অনেক বড় কথা বলেছেন। তাতে কী অশ্বডিম্ব প্রসব হয়, আমরা দেখব।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours