লাল পোশাকে, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা পরে কেমন জানি হয়ে যাচ্ছেন রজতাভ। প্রিয় রনিকে হারিয়ে ফেলছেন প্রিয়জনেরা।


আর কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো সত্যিটা সকলে জেনে যাবেন। জানতে পারবেন অভিনেতা রজতাভ দত্তর সঙ্গে আসলে কী হয়েছে। তবে তাঁর মানসিক সমস্যা যে দিনদিন বাড়ছে, সে বিষয়ে কারওরই সংশয় নেই আর। একটি গ্রামে গিয়ে থাকা শুরু করেছিলেন রজতাভ। পরনে তাঁর কালী মন্দিরের পুরোহিতের টকটকে লাল পোশাক। গলায় বেশ কয়েকটি রুদ্রাক্ষের মালা। সেই গ্রামে কিছুদিন বসবাস করেই নাকি মস্তিষ্কের সমস্য়া দেখা দিতে শুরু করেছে অভিনেতার। ইন্ডাস্ট্রির কেউ-কেউ বলছেন আর ঠিক হবেন না তিনি। কী হয়েছে তাঁর, খোঁজ নিল 


খবরটি জানার পর, নিশ্চয়ই আপনার মনটাও বিচলিত হয়ে গেল? এত ভেঙে পড়বেন না। কারণ, অভিনেতা রজতাভ দত্তর সেই অর্থে কিছু হয়নি। হয়েছে তাঁর অভিনীত এক চরিত্রের। তাই নিয়েই কথা বললেন পরিচালক জয়দীপ রাউত।

তিনি একটি লং শট ছবি তৈরি করেছেন, যার নামকরণ করেছেন ‘জাগ্রতা’। ‘বনফুল’ অর্থাৎ, সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্য়ায়ের রচিত গল্প ‘জাগ্রত দেবতা’র গল্প অবলম্বনে এই ছবির চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে। ছবিতে বেশকিছু পরিবর্তন এনেছেন পরিচালক। তিনি TV9 বাংলাকে বলেছেন, “বনফুলের এক পাতার একটি গল্প থেকে ছবিটা তৈরি করলাম। নামটাও পাল্টে ফেলেছি দেখতে পাচ্ছেন। সাহিত্যের প্রতি আমার একটা আনুগত্য আছে শুরু থেকেই। তাই সাহিত্যে ফিরে গিয়ে এই গল্পের চিন্তা করেছি। সাহিত্য নিয়ে ছবি করাও এখন প্রায় উঠেই গিয়েছে। তাই আরও মনে হল গল্পের বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা কাহিনি নির্ভর ছবিই তৈরি করি। তবে বইয়ের কিছু জিনিস আমি পাল্টেছি আমার মতো করে। যেমন গল্পে আছে শিবপুজোর উল্লেখ। আর ছবিতে আমি কালী পুজোর কথা বলেছি। গল্পে একটি গ্রামের কথা বলা হয়েছে। সেখানে প্রত্যেক বছর কালী পুজোর সময় একজন ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। তা না হলে গ্রাম ছাড়খার হয়ে যায়। এবার সেই ব্যক্তি কে হবেন? মন্দিরের পুরোহিতের চরিত্রে রজতাভ। তিনিই কি তবে শেষমেশ মানসিক ভারসাম্য হারালেন?”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours