স্নিগ্ধজিৎ জানান, অদিতির বাড়ি থেকে তাঁকে মেনে নেবে না জানিয়ে দেওয়া হয়। কোনও মতে সংসার চালানোর জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাটতেন নিগ্ধজিৎ।

সারেগামাপা-র মঞ্চে স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক সকলের নজর কেড়েছিলেন তাঁর অনবদ্য কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে। এখন বাংলার বুকে তাঁর অহরহ অনুষ্ঠান থাকে। সকলের ডাকে সারা দিয়ে দিকে দিকে স্নিগ্ধজিৎ পৌঁছে যান গান শোনাতে। এটাই তো চেয়েছিলেন তিনি। এমনই একটা দিনের স্বপ্নই দেখেছিলেন গায়ক। তবে সত্যি কি বাস্তবটা এতটা সহজ ছিল? স্নিগ্ধজিতের ক্ষেত্রে একেবারেই তা নয়। দিদি নম্বর ১ সেটে এসে তেমনই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নেন গায়ক স্নিগ্ধজিৎ। জানিয়েছিলেন তিনি কঠিন পরিস্থির মধ্যে দিয়ে এই জায়গায় পৌঁছেছিলেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা স্ত্রী অদিতি ভৌমিকেরও চোখের কোল ভিজে যায়।

কীভাবে আলাপা? রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে উত্তর দেন গায়ক। এক নাচের অনুষ্ঠানে একসঙ্গে মঞ্চে ওঠা। অদিতি করবেন নাচ, স্নিগ্ধজিৎ করবেন গান। প্রথম দেখাতেই ভাললাগা। সেখান থেকেই ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে স্নিগ্ধজিতের অদিতির প্রতি টান। কিন্তু অদিতি খুব একটা পাত্তা দিলেন না। একটা সময়ের পর অদিতিকে মনের কথা খুলে বলেছিলেন স্নিগ্ধজিৎ। তবে অদিতির বাড়ি থেকে ছিল সমস্যা। তেমন আয় উপার্যন ছিল না স্নিগ্ধজিতের। ফলে সংসার চলবে কী করে? তার ওপর স্নিগ্ধজিতের বাবাও বেশ অসুস্থ ছিলেন। সেই কারণেই অদিতির বাড়ি থেকে এই সম্পর্কে কেউ রাজি ছিলেন না। একটা সময়ের পর অদিতি ও স্নিগ্ধজিৎ পালিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারপরও মেটেনি সমস্যা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours