ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরে। গাড়ি নিয়ে ফিরছিলেন জিতু-নবনীতা। সেই সময়েই নিমতা মাঝেরহাটি মোড়ে তাঁদের গাড়িকে অপর এক পণ্যবাহী গাড়ি ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ।


অভিনেতা জিতু কামাল (Jeetu kamal) ও নবনীতা দাসের (Nabanita Das) গাড়ির সঙ্গে অন্য গাড়ির সংঘর্ষের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করল নিমতা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় এই নিয়ে মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হল। এর মধ্যে রয়েছেন অভিযুক্ত পণ্যবাহী গাড়িটির চালক, খালাসি গাড়ির মালিক ও তাঁদের সহকর্মী। এই চারজনকে আজ অর্থাৎ শুক্রবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চার জনের বিরুদ্ধে মহিলাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। এরই পাশাপাশি জিতু কামালের গাড়ির চালক ও গাড়ির আরোহীদের বিরুদ্ধে অভব্য আচরণ এবং গাড়ি ভাঙচুরের জন্য পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে শীঘ্রই তদন্ত শুরু হবে। অভিনেতার গাড়ির মালিক কে তা জানতে আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরে তথ্য চাওয়া হবে। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরে। গাড়ি নিয়ে ফিরছিলেন জিতু-নবনীতা। সেই সময়েই নিমতা মাঝেরহাটি মোড়ে তাঁদের গাড়িকে অপর এক পণ্যবাহী গাড়ি ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ। তাঁদের গাড়িটির চালক ওই গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করলে বাধে বচসা। নবনীতা ও জিতুর অভিযোগ, তাঁদের গাড়ির চালককে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাঁদের আরও অভিযোগ, এরপর নিমতা থানায় গেলে পুলিশি অসহযোগিতার মুখে পড়েন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের থানায় বসিয়ে রাখা হয় বলেও সংবাদমাধ্যমের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন দম্পতি। পাশাপাশি, ফেসবুকে লাইভে এসে জিতু-নবনীতা দাবি করেন, ওই পণ্যবাহী গাড়ি চালক তার দলবল নিয়ে চড়াও হয়ে ক্রমাগত খুন ও ধর্ষণের হুমকি দিতে শুরু করে। ফেসবুক লাইভে এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে নবনীতা বলেন, “আমি ভয় পেয়ে গিয়েছি। পুলিশের সামনে আমাকে বলা হচ্ছে রেপ করে দেব, ডেথ করে দেব। এটা কীরকম? পুলিশের সামনেই যদি এরকম করে বলা হয়, তাহলে আমি একা থাকলে কী করতে পারে। আমরা কী দোষ করেছি? গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার কী আমাদের অপরাধ? আমার প্রচণ্ড ভয় লাগছে।”

অভিনেত্রী অভিযোগ করেন, থানার সামনে ঘটনাটি ঘটলেও পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। এমনকি খুনের হুমকি পাওয়ার পরেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন জিতু ও নবনীতা। যদিও নিমতা থানার পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই সঙ্গীতশিল্পী রসিদ খান অপর এক ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছিলেন। এবার সেই একই অভিযোগ করলেন জিতু ও নবনীতা। ফের একবার কাঠগড়ায় পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, তারকারাই যদি এরকম ঘটনার সম্মুখীন হন তবে সাধারণের অবস্থান কোথায়?
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours