তুলসী হল এমন একটি পবিত্র ঔষধি গাছ যা ক্যান্সারের রেডিওথেরাপির প্রভাবকে হ্রাস করতে সহায়তা করে।

অক্টোবর মাস মানেই ঠান্ডা শিরশিরানি বাতাসের ছোঁয়া। সঙ্গে দিনের বেলায় কাঠফাটা রোদে ঘেমে প্যাচপ্যাচে অস্বস্তিকর অনুভূতি। আর তাতেই সাধারণ ফ্লু থেকে শুরু করে নানারকম ভাইরাসের উত্‍পাত শুরু হয়ে যায়। সর্দি, কাশি, জ্বরে ভুগে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও বিগড়ে যায়। তবে শরীরকে যদি এইসবের মধ্যে থেকে দূরে রাখতে চান তাহলে তুলসি পাতা খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যাডাপটোজেনিক ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের প্রভাব। শরীরকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দারুণ উন্নত করতে সাহায্য করে। স্ট্রেসের মাত্রা কমিয়ে মানসিক সুস্থকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তুলসী হল একটি পবিত্র ঔষধি গাছ যা ক্যান্সারের রেডিওথেরাপির প্রভাবকে হ্রাস করতে সহায়তা করে।
চলবে না। তুলসির চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষের ফ্রি- র‍্যাডিকলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাতে অনেক রোগের বিকাশ ও বিস্তারকে বিনাস করতে সহায়তা করে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিটি ভারতীয় পরিবারে তুলসি গাছকে পুজোর আসনে বসানো হয়েছে। একে শুধু দেবতা জ্ঞানে নয়, এর উপকারী গুণের বহর দেখলে চমকে যেতে হয়।

তুলসি চায়ের উপকারিতা

– তুলসি পাতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ভাইরাল (সর্দি, কাশি ও ভাইরাল জ্বরকে প্রতিরোধ করে), অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল (সংক্রমণ জনিত ব্যাধি থেকে রক্ষা করে, গলাব্যথার উপশম করতে), অ্যান্টি-ফাঙ্গাল (ছত্রাকজনিত ত্বকের রোগের উপকারী) বৈশিষ্ট্য।

– শ্বাসকষ্টের সময় তুলসি চা পান করতে পারেন, যথেষ্ট আরাম পাবেন।

– এটি অ্যান্টি-স্ট্রেস বৈশিষ্ট্য থাকার জন্য মানসিক চাপ কমে দ্রুত।

– সাইনোসাইটিস ও মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

তুলসিকে অনেক সংক্রমণ ও অসুস্থতার বিরুদ্ধে শরীরকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবলম্বন করে। হৃদরোগের নানাবিধ ওষুধ ও ভেষজের থেকে তুলসির চা অনেক উপকারী বলে প্রমাণিত। কারণ এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তার জেরে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করেষ তুলসি পাতা বিভিন্ন উপায়েই শরীরের জন্য উপকারী ও অগণিত নিরাময় সুবিধার অধিকারী।

কীভাবে করবেন

তুলসির চা তৈরি করার জন্য ৫ ছেকে ৬টি তাজা তুলসি পাতা ধুয়ে আলাদা করে রেখে দিন। সেগুলিকে এক কাপ জলে ২-৩মিনিটের জন্য ফুটিয়ে রাখুন। সেই জল গরম গরম পান করতে হবে
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours