পুলিশ সূত্রে খবর, দিন চারেক আগে খেজুরি বীরবন্দ কাছে খালের কাছে পচাগলা এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ

মাকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে। জন্মদাত্রী মায়ের দেহ জলে ফেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। তদন্ত শুরুর পর অভিযুক্ত ছেলে ও বৌমাকে গ্রেফতার করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের জামিন নাকচ করে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মাকে খুন অভিযুক্ত ছেলে রতন সিং ও তাঁর স্ত্রী অনিতা সিং। ওই দম্পতির বাড়ি কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের দক্ষিণ আড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।


পুলিশ সূত্রে খবর, দিন চারেক আগে খেজুরি বীরবন্দ কাছে খালের কাছে পচাগলা এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহাকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃতের পরিচয় জানতেন করতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, মৃত মহিলা কল্পনা সিং ( ৪৮)। তাঁর বাড়ি কাঁথি থানার দক্ষিণ আড়িয়া গ্রামে। এর পর একটি মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করে। ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে এমনটাই পুলিশি তদন্তে উঠে আসে। মৃত মহিলার বাপের বাড়ির লোকেরা কাঁথি থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কাঁথির সফিয়াবাদ গ্রামের মৃত কল্পনার বাবা মন্টু ওঝা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই মহিলাকে খুন করে প্রমাণ লোপাট জন্য বস্তাবন্দি করে রসুলপুর নদীতে ফেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সেই খুনের ঘটনার যুক্ত খোদ ছেলে ও বৌমা। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পারিবারিক অশান্তির জেরে মাকে খুন করে ছেলে ও বৌমা। এর পর প্রমাণ লোপাট জন্য রসুলপুর নদীতে ভাসিয়ে দেয়। দেহটি ভাসতে ভাসতে খেজুরি বীরবন্দ এলাকায় উঠে। খেজুরি থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে।

ঘটনা নিয়ে কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেছেন, “ঘটনা তদন্তে নেমে ছেলে ও বৌমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসা আমাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” যদিও তদন্তের কারণে বেশি কিছু তথ্য জানাতে রাজি হননি 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours