রাজ্যসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ড হলেন সাত জন তৃণমূল সাংসদ৷ এ সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত তাঁদের উপরে সাসপেনশন বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান৷

তৃণমূল ছাড়াও সব বিরোধী দল মিলিয়ে রাজ্যসভার মোট ১৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ গতকালই কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন লোকসভার সাংসদকে সাসপেন্ড করেছিলেন স্পিকার ওম বিড়লা৷

যে তৃণমূল সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন সুস্মিতা দেব, শান্তা ছেত্রী, শান্তনু সেন, দোলা সেন, নাদিমুল হক, মৌসম নুর এবং আবির রঞ্জন বিশ্বাস৷ এ দিন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি তুলে রাজ্য সভায় সরব হন তৃণমূল সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের সাংসদরা৷ ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা৷ সংসদের কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁদের সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান৷

তৃণমূল ছাড়াও যে দলগুলির সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ডিএমকে, সিপিআই, সিপিএম এবং টিআরএস৷


এই ঘটনার পরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে শাসক দল বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, সাংসদদের সাসপেন্ড করে তৃণমূলকে চুপ করানো যাবে না৷ তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের সাংসদরা মানুষের সমস্যাগুলিই তুলে ধরার চেষ্টা করছেন৷ সংসদের পবিত্রতার সঙ্গেও আপোস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল৷


তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের অভিযোগ, সরকারই সংসদের কাজ ঠিক মতো হতে দিচ্ছে না৷ তিনি কটাক্ষ করে বলেন, 'মোদি-শাহ গণতন্ত্রকেই সাসপেন্ড করে দিয়েছেন, সাংসদদের আর কী করবেন!' তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এতদিন কংগ্রেস মুক্ত ভারতের কথা বলত বিজেপি৷ এখন তারা বিরোধী মুক্ত ভারত করতে চাইছে৷



Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours