সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষের দাবি, শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা মোনালিসা আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা। ১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর।
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে মোনালিসা দাসের নাম। সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষের দাবি, শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা মোনালিসা আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা। ১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। একইসঙ্গে মোনালিসার বাংলাদেশি যোগও রয়েছে বলে দাবি দিলীপ ঘোষের। যা বলা হচ্ছে তা অমূলক। আমি আমার পেশার প্রতি সৎ। উনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, আমি শিক্ষক। এটাই যোগাযোগের সূত্র। প্রতিক্রিয়া মোনালিসা দাসের।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পর এবার মোনালিসা দাস। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সামনে আরও পার্থ ঘনিষ্ঠের নাম! দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, বেনামে তাঁরও প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার বিভাগীয় প্রধান মোনালিসা দাস। 
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়...দু’জনকেই গ্রেফতার করল ইডি! ইডি বলছে, অর্পিতা পার্থর ঘনিষ্ঠ! আর এই আবহেই বিরোধীরা তুলছে আরও একটি নাম। মোনালিসা দাস কিন্তু কে এই মোনালিসা? সূত্রের খবর, পুরো নাম মোনালিসা দাস। 

তিনি আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার বিভাগীয় প্রধান। কিন্তু, পার্থর সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, বেশ কয়েক বছর ধরেই দু’জনের পরিচয়। মোনালিসার লেখার গুণগ্রাহী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষাপটে এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। 

দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের স্লোগানেও উঠে এসেছে মোনালিসা নামটি! নদিয়ার পায়রাডাঙার নতুন গোপালপুরে বাড়ি মোনালিসার। বর্তমানে আসানসোলে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি। মোনালিসার উত্থানও চমকপ্রদ।

২০১৪ সালের মার্চ মাসে কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু মাত্র ৪ বছরের মধ্যেই, ২০১৮’র মার্চে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদে উন্নীত হন তিনি। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধানের পদ সামলাচ্ছেন। যদিও, বিরোধীদের তোলা যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করছেন মোনালিসা।

কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগীয় প্রধান মোনালিসা দাস জানিয়েছেন, ওনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক হচ্ছে একজন শিক্ষক আর গুরুর মধ্যে যে সম্পর্ক থাকে, সেটা। আমি একজন টিচার আর উনি হচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই সীমারেখার মধ্যেই আমাদের সম্পর্ক ছিল। যা রটছে, সব মিথ্যে। আমার বাড়িতে ইডি বা কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি আসেনি। আমি সৎ। আমি কোনও সুবিধা নিইনি। উনি আমার গুরুজন।

সব মিলিয়ে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি মোনালিসা নামটি ঘিরেও এখন জোর জল্পনা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours