কাটোয়া : আর্থিক অনটন সামলাতে না পেরে মোটা টাকা ধার নিতে হয়েছিল যুবককে। সুদ সহ সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, সব দিক সামলে সেই টাকা ফেরত দিতে পারছিলেন না ওই যুবক। আর তার জেরেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে দাবি পরিবারের। কেন এ ভাবে আত্মহত্যা করলেন তিনি?

মৃত্যুর আগে সেই সব কথা জানিয়ে গিয়েছেন। চিঠিতে লিখে গিয়েছেন তাঁদের নাম, যাঁরা তাঁর ওপর মানসিক চাপ দিচ্ছিলেন। শুধু তাই নয়, গলায় ফাঁস লাগানোর সময় অন করে রেখেছিলেন মোবাইলের ভিডিয়ো ক্যামেরা। আর সেখানেও অভিযোগের কথা বলে গিয়েছেন তিনি। কাটোয়ার কেতুগ্রামের শাখাই গ্রামের ঘটনা। মৃত যুবকের নাম প্রসেনজিত্‍ মল্লিক। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বছর ২৯ -এর প্রসেনজিত্‍ মল্লিক পেশায় ওষুধের দোকানের কর্মী ছিলেন। ফোনে ভিডিয়ো রেকডিং অন করে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এলাকার দুই যুবকের নাম পাওয়া গিয়েছে তাঁর সুইসাইড নোটে। গত বুধবার এই ঘটনা ঘটে কাটোয়ার কেতুগ্রামে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে, চড়া সুদে টাকা ধার নিয়ে আর্থিক অনটনের কারণে শোধ করতে পারেননি তিনি। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। আর তার জেরেই এইভাবে আত্মহত্যা করেছেন প্রসেনজিত্‍ মল্লিক নামে ওই যুবক।

সুইসাইড নোটে লেখা গুপি ও প্রদ্যুত্‍ নামে এলাকার দুই যুবকের নাম। তাঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের কারণে এলাকার গুপি ও প্রদ্যুত্‍-এর কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নেন ওই যুবক। এখন সুদে আসলে তা ৫ লক্ষ টাকার বেশি হয়ে গিয়েছে।



Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours