জল্পনার অবসান। তৃণমূল ও সিপিএমের পর বিজেপি, রাজ্যের দুই হাইভোল্টেজ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য দোল পূর্ণিমার দিন প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করল প্রধান বিরোধী দল। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে পদ্ম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল, আর বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের বাজি মহিলা মোর্চার নেত্রী কেয়া ঘোষ।একাধিক নাম পাঠানো হলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই দুই প্রার্থীকে উপনির্বাচনে লড়াইয়ের অনুমোদন দিল। বলে রাখা দরকার, অগ্নিমিত্রা কিংবা কেয়া, দুজনেই রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর খুব ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এবং রাজনীতিতে তুলনামূলক নবাগত হলেও রাজ্য বিজেপিতে এই দুই নেত্রীর উত্থান উল্কার গতিতে। গত কয়েক বছরে এই দুই নেত্রী বিজেপির খুব পরিচিত মুখ।

মাত্র তিন সক্রিয় বছর রাজনীতিতে এসে অগ্নিমিত্রা প্রথমে রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী ছিলেন। এরপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে কঠিন লড়াইয়ের পর জয়লাভ করে বিধায়ক হন। এবং পরে রাজ্য কমিটির সাধারন সম্পাদক পদে আসেন। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে,আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য বিজেপির টিকিটের দৌড়ে একাধিক জনের নাম থাকলেও দলের অন্দরে প্রভাব খাটিয়ে শেষ হাসি হাসলেন অগ্নিমিত্রা।

অন্যদিকে, বিজেপি মহিলা মোর্চার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সদস্য কেয়া ঘোষ। তিনি আবার অগ্নিমিত্রার খুব ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনেও কেয়ার টিকিট পাওয়ার পেছনে অগ্নিমিত্রার প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছে বিজেপির একটা বড় অংশ। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্রের দায়িত্বেও রয়েছেন একসময় বাংলা সংবাদ মাধ্যমে জনপ্রিয় সঞ্চালিকা কেয়া। ফলে দলের মধ্যে সকল স্তরেই তাঁর পরিচিতি রয়েছে।

এদিকে প্রার্থী হওয়ার পরই কেয়া তাঁর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ''প্রার্থী হব ভাবিনি। দল যোগ্য মনে করেছে তাই করেছে। তৃণমূল প্রার্থীকে আমি প্রতিপক্ষ মনে করি না। তিনি তো জামা পরিবর্তনের মতো দল পরিবর্তন করেন। মানুষ তাঁকে ভরসা করবে না। আমি জয় নিয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।''

উল্লেখ্য, আসানসোলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘন সিনহা এবং বামেদের প্রার্থী পার্থ মুখোপাধ্যায়। আর বালিগঞ্জে ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় ও বাম প্রার্থী সিপিএমের সায়রা শাহ হালিম।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours